বরিশালে সপ্তাহে পাঁচদিন ডানা মেলবে দুটি বিমান

আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ ও ঢাকা-বরিশাল রুটের নিয়মিত বিমান যাত্রীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। আজ ১০ জুলাই থেকে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বাংলাদেশ বিমানের সাথে এ রুটে যাত্রী পরিবহনে যোগ দিচ্ছে বেসরকারি সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট। বিমানের সাথে একযোগে সপ্তাহের ৪ দিন এ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে তারা।

ফলে আজ থেকে সপ্তাহের ৫ দিনই বরিশালের আকাশে পাখা মেলতে যাচ্ছে বহুপ্রতীক্ষিত সরকারি ও বেসরকারি দুটি সংস্থার এয়ারক্রাফট। এদিকে সপ্তাহের ৫ দিন এ রুটে ফ্লাইট চালুর খবরে ইতোমধ্যে যাত্রীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। বিমানের পাশাপাশি নতুন এয়ারলাইন্সের আগমন উপলক্ষে বরিশাল বিমানবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সপ্তাহের প্রতি রবিবার সকালে ও বুধবার বিকেলে এ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর চলতি বছরের ৮ এপ্রিল বিকেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-বরিশাল রুটের কাঙ্খিত ফ্লাইট সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধণ করেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন-এমপি। তখনই প্রতিদিন ফ্লাইট চালুর জন্য সর্বমহল থেকে বিমান মন্ত্রীর কাছে দাবি তোলা হয়। ওইসময় মন্ত্রী মেনন দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ রুটে সপ্তাহে কমপক্ষে ৪/৫ দিন বিমান চলাচলের আশ্বাস দেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ১০ জুলাই থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নামে একটি বেসরকারি সংস্থা এ রুটে তাদের ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে।

সংস্থার বরিশাল অফিসের ইনচার্জ মো. রিয়াদ হোসেন জানান, ড্যাস-৮ কিউ-৪০০ মডেলের টার্বোপ্রপ ইঞ্জিনের দুটি এয়ারক্রাফট দিয়ে আপাতত প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল, বৃহস্পতি, শুক্র ও রবিবার ঢাকা-বরিশাল রুটে তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। তবে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে চাহিদা অনুযায়ী ভবিষ্যতে সপ্তাহের সাতদিনই এ রুটে ফ্লাইট চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

তিনি আরও জানান, বর্তমান সিডিউল অনুসারে আপাতত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ৭৬ আসনের এয়ারক্রাফট সপ্তাহের ৪ দিনই একই সময়ে বিকাল সাড়ে তিনটায় ঢাকা থেকে উড্ডয়ন ও ৪টা ২০ মিনিটে বরিশাল বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার কথা রয়েছে। তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রমোশনাল ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া আসনপ্রতি সর্বনিন্ম ৩ হাজার ২’শ ও ৩ হাজার ৭’শ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া রেস্টিকটেড ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া ৪ হাজার ও ৪ হাজার ৬’শ এবং আপার ক্লাসের জনপ্রতি ভাড়া গ্রেড অনুসারে যথাক্রমে ৫ হাজার ২’শ, ৫ হাজার ৭’শ ও ৬ হাজার ২’শ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ রুটের নিয়মিত যাত্রী রাজধানীর পর্যটন প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পরিচালক আতিকুর রহমান আতিক জানান, ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করে তা রেগুলার ইকোনমি হিসেবে রাখলে সেটা মধ্যবিত্ত যাত্রীদের নাগালের মধ্যে থাকবে। আর মধ্যবিত্ত শ্রেণীর যাত্রীদের টানতে না পারলে শুধু ভিআইপি দিয়ে ৭৬ আসনের ফ্লাইট নিয়মিত টিকিয়ে রাখা বেশ কঠিন হয়ে পড়বে। অপর নিয়মিত যাত্রী বরিশাল-৩ আসনের এমপি এ্যাডভোকেট শেখ মো. টিপু সুলতান জানান, রাষ্ট্রীয় সার্ভিস বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মতো তাদের ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া ২ হাজার ৭’শ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকার মধ্যে রাখা উচিত। তা না হলে বিমানের সাথে প্রতিযোগীতায় যাত্রী সংকটের মুখে পড়ে শুরুতেই হোচট খেতে পারে নতুন বেসরকারি সংস্থাটি।



মন্তব্য চালু নেই