যেমন গেল তারকাদের পহেলা বৈশাখ

কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো পহেলা বৈশাখ। এ দিনটি বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়। এটি বাঙালির একটি সর্বজনীন লোক উৎসব হিসেবেও সমাদৃত। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় পালিত হয় নববর্ষ।

নববর্ষ মানেই হালখাতা শুরু। বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সংস্কৃতিতে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার প্রথা ও পদ্ধতিতে এসেছে পরিবর্তন।

বলা যায় যে, প্রায় সারাবছর কাজ নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত থাকেন টিভি, চলচ্চিত্র, মঞ্চ ও সংগীতাঙ্গনের শিল্পী-কলাকুলীরা। তাই একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়, প্রাণবন্ত আড্ডা আর হৈচৈ করার ফুরসত খুব কম মেলে তাদের। পহেলা বৈশাখে তাই বর্ষবরণকে ঘিরে সুযোগটা হাতছাড়া করতে চান না তারা।

সেজন্যই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টেলিহোমের বর্ষবরণ আয়োজন হয়ে ওঠে শিল্পী-কলাকুলীদের মিলনমেলা। রাজধানীর ট্রাস্ট মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত আড্ডাবাজিতে মাতেন তারা। এদিন কোনো কাজ নয়, কাজ নিয়ে কথাও নয়; হয়েছে শুভেচ্ছা বিনিময়, খাওয়া আর ছবি ও সেলফি তোলা।

প্রতি বছরই বাংলা নববর্ষকে বরণ করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টেলিহোম। এর স্বত্ত্বাধিকারী আলী বশির ও শামীমা শাম্মী দম্পতি জানান, তাদের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের ২০ বছর পূর্তি হলো এবার। তাই মিলনায়তনের বাইরে ছিলো গত ১৯ বছরে আসা তারকাদের কিছু মুহূর্তের স্থিরচিত্র।

বর্ষবরণে অভিনেত্রীদের মধ্যে এসেছিলেন কবরী, শমী কায়সার, রিচি সোলায়মান, নিপুণ, ফারহানা মিলি, মম, মোনালিসা, সাদিয়া জাহান প্রভা, তানভীন সুইটি, জ্যোতিকা জ্যোতি, বাঁধন, ভাবনা, স্বাগতা, দিলারা জামান, অরুণা বিশ্বাস, তমালিকা কর্মকার, মুনিরা ইউসুফ মেমী, সুষমা সরকার, ফারজানা চুমকী, শান্তা ইসলাম, গোলাম ফরিদা ছন্দা, নোভা, আলভি, হোমায়রা হিমু, শামীমা তুষ্টি, নিশা, সুজানা, আইরিন আফরোজ, আফরোজা বানু, মনিরা মিঠু, তাহমিনা সুলতানা মৌ, মিরানা জামান, নামিরা, কুমকুম হাসান, মুনিয়া, লাবণ্য লিজা, প্রমা আজিজ, ঈশিকা আজিজ, শান্তা রহমান।

তারকা দম্পতিদের মধ্যে এসেছিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী-নুসরাত ইমরোজ তিশা, তারিক আনাম খান-নিমা রহমান, রহমত আলী-ওয়াহিদা মল্লিক জলি, আজিজুল হাকিম-জিনাত হাকিম, শাহেদ-নাতাশা, হিল্লোল-নওশীন, শোয়েব-মৌসুমী নাগ, নাঈম-নাদিয়া, শাহেদ আলী-দীপা খন্দকার, বৃন্দাবন দাস-শাহনাজ খুশি, নরেশ ভূঁইয়া-শিল্পী সরকার অপু, সৈয়দ হাসান ইমাম-লায়লা হাসান।

অভিনেতাদের মধ্যে ছিলেন জাহিদ হাসান, চঞ্চল চৌধুরী, আনিসুর রহমান মিলন, আরমান পারভেজ মুরাদ, আজাদ আবুল কালাম, শাহরিয়ার নাজিম জয়, শ্যামল মাওলা, সাঈদ বাবু, হাসান মাসুদ, রওনক হাসান, কল্যাণ, মিশু সাব্বির, ফারুক আহমেদ, শাহরিয়ার শুভ, সিদ্দিক, আরফান, মাসুদ আলী খান, এসএম মহসীন, নাদের চৌধুরী, আহসান হাবিব নাসিম, ওমন আয়াজ অনি, সমাপ্তি মাসুক, তানভীর, আমিন আজাদ, আব্দুল আজিজ, সেজান, আরিক আনাম খান, চাষী।

নির্মাতা দলে ছিলেন সালাহউদ্দিন লাভলু, গাজী রাকায়েত, অরণ্য আনোয়ার, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, মোহন খান, আরিফ খান, শিহাব শাহীন, অমিতাভ রেজা, অনিমেষ আইচ, চয়নিকা চৌধুরী, দেবাশীষ বিশ্বাস, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল, শাহীন কবির টুটুল, সকাল আহমেদ, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, শাহরিয়ার শাকিল।

এ ছাড়া এসেছিলেন নজরুলসংগীত শিল্পী শাহীন সামাদ, দিঠি আনোয়ার, উপস্থাপিকা সামিয়া আফরিন, আরজে নিরব। অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন সন্দীপন, লোপা লোপা হোসাইন, রাফাত ও এসএম সাগর।

(বাঁ থেকে) অরুণা বিশ্বাস ও জাকিয়া বারী মম
(বাঁ থেকে) অরুণা বিশ্বাস ও জাকিয়া বারী মম
(বাঁ থেকে) ওয়াহিদা মল্লিক জলি, শান্তা ইসলাম ও মুনিরা মিঠু
(বাঁ থেকে) ওয়াহিদা মল্লিক জলি, শান্তা ইসলাম ও মুনিরা মিঠু
(বাঁ থেকে) তারিক আনাম খান, জাহিদ হাসান ও চঞ্চল চৌধুরী
(বাঁ থেকে) তারিক আনাম খান, জাহিদ হাসান ও চঞ্চল চৌধুরী
(বাঁ থেকে) রিচি সোলায়মান, নিপুন ও দীপা খন্দকার
(বাঁ থেকে) রিচি সোলায়মান, নিপুন ও দীপা খন্দকার
(বাঁ থেকে) সুইটি, ভাবনা ও সুজানা
(বাঁ থেকে) সুইটি, ভাবনা ও সুজানা
(বাঁ থেকে) হাসান মাসুদ, মাজনুন মিজান ও কল্যাণ
(বাঁ থেকে) হাসান মাসুদ, মাজনুন মিজান ও কল্যাণ
আফজাল হোসেন ও সালাহউদ্দিন লাভলু
আফজাল হোসেন ও সালাহউদ্দিন লাভলু
নাঈম-নাদিয়া দম্পতি
নাঈম-নাদিয়া দম্পতি
বাঁ থেকে) প্রভা, মোনালিসা ও স্বাগতা
বাঁ থেকে) প্রভা, মোনালিসা ও স্বাগতা
বাঁধনের গালে কন্যার আদুরে চুম্বন
বাঁধনের গালে কন্যার আদুরে চুম্বন
মিশু সাব্বির ও পুত্রের সঙ্গে নোভা
মিশু সাব্বির ও পুত্রের সঙ্গে নোভা
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও তিশা দম্পতি
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও তিশা দম্পতি
শমী কায়সার ও গোলাম ফরিদা ছন্দা
শমী কায়সার ও গোলাম ফরিদা ছন্দা


মন্তব্য চালু নেই