বর্ষবরণে যৌন নিপীড়ন রুখে দেবে ছাত্র ইউনিয়ন

এবার বর্ষবরণে যৌন নিপীড়নের মতো অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিহত করতে পহেলা বৈশাখে টিএসসি, রাজু ভাস্কর্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থান নেবে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা।

পাশাপাশি পহেলা বৈশাখের উৎসব নিয়ে চলমান সকল চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সকলকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ তথ্য জানানো হয়। বিগত বছরে বর্ষবরণের দিন সংগঠিত যৌন সন্ত্রাসের প্রেক্ষিতে নববর্ষের প্রাক্কালে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ছাত্র ইউনিয়ন।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি লাকী আক্তারের সভাপতিত্বে এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক জি এম জিলানী শুভ।

লাকী আক্তার বলেন, ‘গত বর্ষবরণের দিন যৌন নিপীড়নের ঘটনার প্রতিবাদে এক বছর লড়াই-সংগ্রাম চালিয়েছি। আমরা প্রশাসনের তরফ থেকে যে বিচার প্রত্যাশা করেছিলাম তা পাইনি। ঘটনার এক বছর পরেও তদন্ত শেষ করতে পারেনি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়ার নামে বর্ষবরণের উৎসবকে সংকীর্ণ করার চেষ্টা চলছে।’

জিলানী শুভ বলেন, ‘গত বছরের ঘটনা নিয়ে সরকার ও প্রশাসন তুঘলকি কর্মকাণ্ড শুরু করে দিয়েছে। যার বেশির ভাগই অনর্থক, হঠকারী। ইতোমধ্যে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাঙালির প্রাণের উৎসব বর্ষবরনের আঙ্গিক ছোট করে বিকাল ৫টার মধ্যে উৎসবের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পরিত্যাগ করার এক ধরনের বিধি নিষেধ জারি করেছে। আমরা এ বিধিনিষেধ প্রত্যাখ্যান করছি এবং স্বাভাবিক উৎসবের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার-প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

উৎসবে ছাত্র ইউনিয়নের শতাধিক কর্মী মাথায় ক্যাপ ও গলায় স্বেচ্ছাসেবক কার্ড ধারণ করে সতর্ক অবস্থান নেবে বলে জানান তিনি।

এ ছাড়া নববর্ষ নিয়ে সরকারদলীয় সংগঠন ওলামা লীগের বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী গোষ্ঠীর বর্ষবরণের বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বিজু উৎসবের উপর সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপের নিন্দা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন সেনগুপ্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি লিটন নন্দী, সাধারণ সম্পাদক তুহিন কান্তি দাস প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই