বর্ষবরণে যৌন হয়রানি: ৫ ছাত্রলীগকর্মীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

বর্ষবরণের দিন এক আদিবাসী ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, ছিনতাই ও প্রহারের দায়ে আজীবন বহিষ্কৃত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (১৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মোহাম্মদ আলী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২৩ মে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় যৌন হয়রানি, ছিনতাই ও প্রহারের দায়ে শাখা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য নিশাত ইমতিয়াজ (সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ), ছাত্রলীগ কর্মী নৃবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আবদুর রহমান ও নুরুল কবির, হল শাখা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক নাফিজ ইমতিয়াজ (রসায়ন বিভাগ) এবং ছাত্রলীগ কর্মী রাকীব হাসান (ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ) তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কারের পর গত বছরের শেষের দিকে হাইকোর্টে এ আদেশের বিরুদ্ধে রিট করেন ছাত্রলীগের এই পাঁচ নেতাকর্মী। এতে শুনানি শেষে গত ২০ মার্চ আদালত এই বহিষ্কারাদেশ অবৈধ ঘোষণা করেন বলে জানানো হয় অফিস আদেশে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (আইন) মাহতাব-উজ-জাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, শুনানি শেষে হাইকোর্ট বহিষ্কারাদেশকে অবৈধ ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে গত ছয় এপ্রিল এই পাঁচজন শিক্ষাকার্যক্রমে অংশ নেয়ার জন্য উপাচার্য বরাবর আবেদন করেন। উপাচার্য আবেদন গৃহীত করার পর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে এ অফিস আদেশ দেওয়া হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের রাতে হলে ফেরার সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে যৌন হয়রানির শিকার হোন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আদিবাসী ছাত্রী। পরবর্তীতে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে সিন্ডিকেট সভায় তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করে।



মন্তব্য চালু নেই