টেকনাফে বাড়ছে ইয়াবা ব্যবসা

বহনকারী অধিকাংশ যানবাহনের চালক ও হেলপার

ফয়েজুল ইসরাম রানা, টেকনাফ : ইদানিং সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে আশংকা জনক হারে বেড়ে গেছে ইয়াবার রমরমা ব্যবসা। এর মূল বাহন হচ্ছে বিভিন্ন প্রকারের যানবাহন। এ ছাড়া রয়েছে, গাড়ির চালক ও হেলপার। প্রতিদিনেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে ছোট হতে আরম্ব করে বড় বড় চালান আটক হচ্ছে। এ ব্যবসার সাথে ছোট হতে আরম্ব করে বড় বড় রাঘব বোয়াল জড়িয়ে পড়ছে। গত ১২মে টেকনাফ থানা পুলিশ ৩কোটি ৬০লাখ টাকা মূল্যের ১লাখ ২০হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট আটক করেছে। ট্যাবলেটের মূল বাহন ছিল সিএনজি ও এর চালক। ইহা নিত্যনৈমিতিক বিষয় হয়ে দাড়িঁয়েছে। টেকনাফ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবার বড় বড় চালান আটক হচ্ছে। আটককৃতদের সিংহভাগই হচ্ছে গাড়ির চালক ও হেলপার। স্থানীয় সূত্রে জানায়, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কতিপয় ইয়াবার ডিলার এ লাভজনক ব্যবসাকে সু-দীর্ঘ করার লক্ষ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ফাকিঁ দেওয়ার জন্য প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কলাকৌশল অবলম্বন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে। এর মধ্যে রয়েছে মিয়ানমার থেকে চালান পাঠানোর সময় ছোট ছোট ফিশিং বোট ও বিভিন্ন পণ্যবাহী বোট যোগে আবার কোন সময় যানবাহনের মাঝি-মাল্লাহ ও জেলেদের মাধ্যমে ট্যাবলেট গুলো বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে। মিয়ানমারের মূল ডিলার চেম্বারে বসে বিভিন্ন লেবার শ্রেণীর লোকদিয়ে এ গুলো বহন করাচ্ছে। ডিলালেরা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়াঁর বাইরে। ঐ চালান গুলো মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে বাংলাদেশের ডিলালেরা নিজেদের ঘরে অথবা তাদের সুনির্দিষ্ট গোপন স্থানে বসে বিভিন্ন যানবাহন গাড়ির চালক, হেলপার ও দরিদ্র শ্রেণীর পুরুষ মহিলা ও যুবক-যুবতি দিয়ে দেশের অভ্যান্তরে চালান দিচ্ছে। মূল ডিলার রয়েছে ধরা ছোয়াঁর বাইরে। এতে কোন চালান আটক হলে চালানকারীগণ মূল মালিকের নাম বলে দিলে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলে ঐ ইয়াবার গডফাদার মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ম্যনেজ করে প্রকাশ্যে দিবা-লোকে এই ব্যবসা চালিয়ে যায়। এদেরকে আটক করেনা কেহ। অথচ দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী পেঠ ও সংসারের তাগিদে যারা বহন করে এদের বিরুদ্ধে মামলা হলে আর তাদের নিস্তার থাকেনা। রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। পুলিশ তাদেরকে বারংবার খুজঁতে থাকে। সূত্রে জানায়, যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী গাড়ীর যে সমস্ত গাড়ি টেকনাফে অবস্থান করে এদের বেশীরভাগই গাড়ী রাত্রে টেকনাফের নতুন ও পুরাতন বাস টার্মিনালে অবস্থান করে। ইয়াবা ব্যবসায়ীরা এ সমস্ত গাড়ীর চালক ও হেলপারদের সাথে চুক্তি করে ইয়াবার চালান গুলো তাদের হাতে গভীর রাতে তোলে দেয়। কেন না গাড়ীর চালক ও হেলপারদেরকে দেশের অভ্যান্তরগামী চেক পোষ্ট গুলোতে চেক করেনা। ফলে নিরাপদে তারা ইয়াবার চালান গুলো পৌছে দেয়। ইহা বর্তমানে নিত্যনৈমিতিক বিষয়ে দাড়িঁেছ। স্থানীয় প্রত্যক্ষদশী জানিয়েছে, বিশেষ করে বর্তমানে নাইট্যংপাড়ার বাস টার্মিনালের রাত্রে অবস্থানরত বিভিন্ন প্রকার যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন গুলো এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যা হলে এসমস্ত গাড়ীর চালক ও হেলপারদের সাথে ইয়াবা বহনের বিষয় নিয়ে দরকষাকষি চলে। এর পর শুরু হয় চালান গাড়িতে ফিট করার পালা। মূল ইয়বা ব্যবসায়ীরা ছোট ছোট শিশুদের মাধ্যমে গাড়ীতে মালগুলো উঠিয়ে দেয়। যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা গোয়েন্দা সংস্থার গোপনে প্রত্যক্ষ বা তদন্ত করলে ইহা অনায়সে ধরা পড়বে। বর্তমানে বাস টার্মিনালের চর্তুর পাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ভাড়া বাসা। এ সমস্ত ভাড়া বাসায় অধিকাংশ ভাড়াটিয়া হচ্ছে মিয়ানমারের অধিবাসী। এদের মূল কাজ হচ্ছে ইয়াবা বহন ও বাজার জাতকরণ। এ সমস্ত ভাড়া বাসা গুলো তল্লাশী করলে ইয়াবার বড় বড় চালান অনায়সে ধরা পড়বে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই