বাঁশখালীর ঘটনায় তিন মামলা

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় এস আলম গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্রবিরোধী গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহতের ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।

গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকায় সোমবার বিকালের এই সংঘর্ষে ১১ পুলিশসহ কমপক্ষে ১৯ জন আহত হন বলেও জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) হাবিবুর রহমান। বাঁশখালীর এ ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মমিনুর রশিদের নেতৃত্বে এক সদস্যের কমিটি করেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক।

কয়লাভিত্তিক বেসরকারি ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জমি নেয়াকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ ছিল। তবে একটি অংশ ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষে অবস্থান নিলে দুই পক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতাকারীরা সোমবার ‘বসতভিটা রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিলে অন্য পক্ষও পাল্টা সমাবেশ ডাকে। উত্তেজনা এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধীদের উপর হামলায় পুলিশের সঙ্গে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষের লোকজনও অংশ নিয়েছিল বলে স্থানীয়রা জানান। তখন কয়েকজন নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লেও পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েক ঘণ্টা তা স্বীকার করা হয়নি।

পরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- মর্তুজা আলী (৫০), আনোয়ার হোসেন ওরফে আংকুর আলী (৪৫), জাকির আহমেদ (৩৫) এবং জাকের (৫৫)। তিনজনের লাশ বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং একজনের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেলে রয়েছে।

জানা যায়, গত রবিবার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। এর প্রতিবাদেই সোমবার সমাবেশ ডেকেছিল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধীপক্ষ। গণ্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনায় ‘১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র’ যৌথভাবে নির্মাণ করছে এস আলম গ্রুপ ও চীনের একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ভূমি অধিগ্রহণ চলছে। ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে স্থানীয়রা এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতা করছে। তাদের অভিযোগ, এস আলম গ্রুপ পুনর্বাসনের সুযোগ না দিয়ে জোর করে জমি অধিগ্রহণ করছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি হলে বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের লবণ ও চিংড়ি চাষিরা বেকার হয়ে পড়বেন বলেও স্থানীয়দের আশঙ্কা।



মন্তব্য চালু নেই