বাংলাদেশি যাত্রীদের মানুষই মনে করে না সৌদি এয়ারলাইন্স

পৃথিবীর অন্যসব দেশের যাত্রীদের উন্নত সেবা দিলেও বাংলাদেশি যাত্রীদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে সৌদি এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশি যাত্রীদের ব্যাগেজ হারানোর অভিযোগ পেলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে অভিযোগ সময়ে সময়ে করেছেন সাধারণ যাত্রীরা।

সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ, সৌদি এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা বাংলাদেশিদের মানুষই মনে করে না। অথচ ২০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিকের কারণে সৌদি এয়ারলাইন্স ঢাকা রুটে বাম্পার ব্যবসা করে আসছে। শর্তের জালে আবদ্ধ করে বাংলদেশের ৫০ শতাংশ হজযাত্রী টানছে এয়ারলাইন্সটি।

জানা গেছে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৌদি এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে যাত্রীদের অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ইতোমধ্যে সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে সৌদি এয়ারলাইন্সকে সতর্কতামূলক একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাকির হাসান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যাগেজ হারানো যাত্রীদের অভিযোগ দুইদিনের মধ্যে সুরাহা না করলে ভবিষ্যতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে গত ৩ জুলাই সৌদি এয়ারলাইন্সে আসা এক যাত্রীর ব্যাগেজ হারানোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিমানবন্দরের ভ্রাম্যমাণ আদালত চার লাখ টাকা জরিমানা করে সৌদি এয়ারলাইন্সের দুই কর্মকর্তাকে।

এ বিষয়ে বিমানবন্দরে দায়িত্বরত ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি-৮০৪ ফ্লাইটে গত ৩ জুলাই সৌদি থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে নির্দিষ্ট বেল্টে তার ব্যাগেজটি খুজে পায়নি এক যাত্রী। তিনি দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেন।

পরে কর্মকর্তাদের পরামর্শে নির্ধারিত ব্যাগেজ ক্লেইম কর হয়। এতে কোনো কাজ হয়নি। সবশেষে এ বিষযে প্রতিকার চেয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট লিখিত দরখাস্ত পেশ করেন। বিষয়টি তদন্ত পরবর্তী ম্যাজিস্ট্রেট সৌদি এয়ারলাইন্সের দুই কর্মকর্তার প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে মোট চার লাখ টাকা জরিমানা করেন।

এ বিয়য়ে সিভিল এভিয়েশনের সদস্য (অর্থ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সৌদি এযারলাইন্সের বিরুদ্ধে আগেরও অনেক অভিযোগ আছে। এদের চামড়া মোটা। বারবার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পরও তাদের টনক নড়েনি। এমনটি অব্যাহত থাকলে আগামীতে যাত্রীদের অভিযোগকে অ্রগ্রাধিকার দিয়ে এয়ারলাইন্সটির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই