বাংলাদেশের অতীতে ফিরে রোমাঞ্চিত সুমাথিপালা

১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে উইলস কাপ দেখতে এসেছিলেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের বর্তমান সভাপতি থিলাঙ্গা সুমাথিপালা। সে সময়েও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের সভাপতি ছিলেন সুমাথিপালা। পাশাপাশি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি ও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এর পরিচালক পদে কাজ করেছেন সুমাথিপালা।

বাংলাদেশের ক্রিকেটের পরমমিত্র শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পিছনে সুমাথিপাল অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। বিশ্বাস রেখে বাংলাদেশের পক্ষে দিয়েছিলেন মহামূল্যবান ভোট। আজ সেদিনগুলোর স্মৃতিচারণ করে সুমাথিপালা ফিরে পান অতীত রোমাঞ্চ।

দুই দলের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইতিহাস তুলে ধরে সুমাথিপাল বলেন,‘বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ১৯৯৮ সালে আমি শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলাম। ওই সময়ে বাংলাদেশকে পূর্ণ সদস্য দল হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য আমরা ভোট দিয়েছিলাম। আমি সত্যি সেদিনের জন্য আজ গর্বিত।’

‘সে সময়ে আমি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলাম। তোমাদের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য আমরা বেশ কিছু পরিকল্পনা করে দিয়েছিলাম। এসিসির ডেভেলাপমেন্টের অর্থায়নে আমরা চারজন কোচ বাংলাদেশে পাঠিয়েছিলাম। সে সময়ে সাবের হোসেন চৌধুরী বিসিবির সভাপতি ও আশরাফুল হক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল। অঞ্চল ভিত্তিক টুর্নামেন্ট, স্কুল ক্রিকেট ও অনূর্ধ্ব-১৩,১৫,১৭ ও ১৯ ক্রিকেট দল গঠনের জন্য যা প্রয়োজন তা করে দিয়েছিলাম। ৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তোমাদের ক্রিকেট স্ট্রাকচার দাঁড়া করানোর জন্য সহায়তা করেছিলাম। বাংলাদেশ তখন ভালো ক্রিকেট খেলত কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটের মান ততটা ভালো ছিল না। আমাদের আজকের এ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। প্রায় ২০ বছরের। আমরা দুই জাতি দুই জাতিকে সহায়তা করে আসছি। বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক ম্যাচুউরড। তোমাদের ক্রিকেট অনেক উন্নতি হয়েছে। তোমাদের অংশগ্রহণও বেড়েছে। আর্থিকভাবে স্বচ্ছ্বল এবং ফ্যাসিলিটির অনেক উন্নত হয়েছে। অনেকেই হয়ত বলবে বাংলাদেশ টেস্ট খেলার জন্য ফিট নয়। তবে শ্রীলঙ্কা সব সময় বাংলাদেশের পাশে ছিল। আমরা এজন্য খুশি।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ভূয়ষী প্রশংসা করে অভিজ্ঞ এ সংগঠক এবং শ্রীলঙ্কার বর্তমান ডেপুটি স্পিকার বলেন,‘বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন ভালো কাজ করছে। টানা কয়েকটি এশিয়া কাপ আয়োজন করেছে। এখন ইমার্জিং কাপও আয়োজন করতে যাচ্ছে। আমি ২০ বছর আগে যখন বাংলাদেশে গিয়েছিলাম তখন ফুটবলের রমরমা অবস্থা। অনেক জনপ্রিয় ছিল ফুটবল। এখন ক্রিকেট সেই জায়গাটি দখল করে নিয়েছে।৭-৮ বছরে দর্শক ক্রিকেটে ফিরে এসেছে।’



মন্তব্য চালু নেই