বাংলাদেশের অর্থ পাচারে ব্যবহৃত একটি অ্যাকাউন্ট ‘ভুয়া’ ছিল

ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার সরানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে যে ছয়জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে তাদের একজন দাবি করেছেন, ওই ব্যাংকে তার নামে খোলা অ্যাকাউন্টটি ছিল ভুয়া। তার ভুয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছিল। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী উইলিয়াম এস গো-এর আইনজীবী র‌্যামন এসগুয়েরা শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চিত অর্থ থেকে গত মাসে হ্যাকাররা ৮১ মিলিয়ন ডলার লোপাট করে।গত সপ্তাহে ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যম ডেইলি ইনকোয়ারার অর্থ লোপাটের এ তথ্য প্রকাশ করে।

পত্রিকাটি বলেছে, সুইফট মেসেজিং সিস্টেমে জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ সরানো হয় ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কার ব্যাংকে। শ্রীলঙ্কায় যাওয়া দুই কোটি ডলার মাঝপথে আটকানো গেলেও ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের মাকাটি সিটির জুপিটার স্ট্রিট শাখার পাঁচটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নেওয়া ৮ কোটি ডলার ক্যাসিনো হয়ে হংকংয়ে পাচার হয়ে গেছে। এ ঘটনায় অভিযোগের তীর ওঠে ব্যাংকের মাকাটি সিটির জুপিটার স্ট্রিট শাখার ব্যবস্থাপকের দিকেও। শুক্রবার ম্যানিলা থেকে জাপান যাওয়ার চেষ্টাকালে একটি বিমান থেকে তাকিয়ে নামিয়ে আনে ইমিগ্রেশন কর্মককর্তারা।

শুক্রবার দেওয়া বিবৃতিতে ব্যবসায়ী উইলিয়াম এস গো নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তার আইনজীবী র‌্যামন এসগুয়েরা জানান, গো-এর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তার নামে ব্যাংকে হিসাব খোলা হয়েছিল।

অর্থপাচারের ঘটনায় সন্দেহভাজন গো-এর ব্যাংক হিসাব স্থগিত করে দিয়েছে সরকার। শুক্রবার আদালতে করা আপিল আবেদনে গো তার ব্যাংক হিসাব চালু করে দেওয়ার আবেদন জানান।

অর্থপাচারের ওই ঘটনাটি মাকাটি সিটির জুপিটার স্ট্রিট শাখার ব্যবস্থাপক মাইয়া সান্তোস-দিগুইতো জানতেন বলেও দাবি করেন গো। তিনি বলেন, দিগুইতো তাকে বলেছিলেন,বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ মার্কিন ডলার আনতে দুটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এই ডলার ফিলিপাইনের মুদ্রা পেসোতে রুপান্তরের জন্য ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে। তবে তার নামেও যে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এটা জানতেন না বলে দাবি করেন গো।



মন্তব্য চালু নেই