‘বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ কানের সমস্যায় ভুগছে’

২০১৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় পরিচালিত এক জরিপের ফল অনুযায়ী বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ মানুষ কোন না কোন ভাবে কানে কম শোনা রোগে ভুগছে।

এর মধ্যে অন্তত দশ ভাগ মানুষ হিয়ারিং এইড বা যন্ত্রের সহযোগিতা ছাড়া প্রায় অচল। আর বধিরতায় ভুগছে এক দশমিক তিন শতাংশ শিশু।

ঢাকায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা: কামরুল হাসান তরফদার বলছেন গর্ভবতী মায়ের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার মতো শিশুর জন্মকালীন সমস্যা, অজ্ঞতা, প্রচলিত কিছু নিয়ম কানুন এবং শব্দ দূষণের মতো বিষয়গুলোই মূলত শ্রবণ সমস্যার জন্য দায়ী।
তিনি বলেন কিছু ক্ষেত্রে অবহেলার জন্যেও সমস্যাগুলো প্রকট হয়ে কানের অনেক ক্ষতি করে থাকে।

“অনেক সময় শিশুদের বিছানায় শুইয়ে বুকের দুধ খাওয়ান মায়েরা। এটি বিপদজনক হতে পারে। আবার অনেকে কানের ময়লা পরিস্কার করতে গিয়ে ক্ষতি করেন কানের। কান পাকলে গুরুত্ব না দিয়ে বরং নানাভাবে আরও ক্ষতি করা হয়, যা থেকে বধিরতা হতে পারে”।

মিস্টার তরফদার বলেন শহর ও গ্রাম সব জায়গাতেই শ্রবণ সম্পর্কিত সমস্যার অন্যতম বড় কারণ হলো শব্দ দূষণ।

“ধর্মীয়, রাজনৈতিক নানা কিছু, আবার কনসার্ট এগুলোতে ব্যাপকভাবে অনুষ্ঠান স্থলের বাইরেও মাইকের ব্যবহার করা হয় যেগুলো অত্যন্ত ক্ষতিকর”।

তিনি বলেন এ ধরনের নানা কারণে শ্রবণ সমস্যা দেখা দিলেও সেটিকে অবহেলা না করে সময়মত চিকিৎসা নিলেই কেবল বধিরতার আশংকা দুর করা সম্ভব হবে।



মন্তব্য চালু নেই