বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি

ঘরের মাঠে বাংলাদেশ টানা ৬টি সিরিজ জিতেছে। হারিয়েছে বড় বড় কয়েকটি দলকেও। যদিও আফগানিস্তান সিরিজের আগে টানা ১০ মাস ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে পারেনি। যে কারণে ছন্দে ফেরার লক্ষ্যে আফগানিস্তান সিরিজটা ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই সিরিজের মধ্য দিয়ে আমি মনে করি, বাংলাদেশ আবারও চেনা ছন্দে ফিরে এসেছে। সুতরাং, ঘরের মাঠে বাংলাদেশ যে ভয়ঙ্কর একটি দল সেটা ভালোভাবেই টের পাচ্ছে সফরকারী ইংল্যান্ড।

আবার ইংল্যান্ডের কথা যদি বলি, তাহলে তারাও কিন্তু বেশ ফর্মে রয়েছে। সম্প্রতি যেভাবে ক্রিকেট খেলছে তারা, তাতে ইংল্যান্ডও বেশ লড়াই করবে বোঝা যায়। বরং, তারা বাংলাদেশের চেয়ে র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকার সুবিধাটা নিতে চাইবে। এ কারণে, আমার মনে হচ্ছে শুধু এই ম্যাচ নয়, সিরিজটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে ফিফটি ফিফটি সম্ভাবনার। যে কেউ জিততে পারে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো হোম কন্ডিশন। স্পিনটা হতে পারে বাংলাদেশের জন্য ট্রাম্পকার্ড। কারণ, ইংল্যান্ড স্পিনে দুর্বল। তাদের বিপক্ষে স্পিন দিয়েই পরিকল্পনা সাজাতে হবে। পেসারদের ভালো করার জন্য আরও অনেক কাজ করা প্রয়োজন। কারণ, মোস্তাফিজ নেই। তার অভাব আমরা খুব বোধ করবো।

অফ ফর্মের কারণে রুবেলও নেই। নিঃসন্দেহে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেরা পারফরমার হলেন রুবেল। সে না থাকাটা আমার মনে হয় একটা ওয়ার্নিং পয়েন্ট। যদিও মাশরাফি বেশ ভালো পারফর্ম করছে। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, সে যেন সুস্থ থাকে এবং নিজের সেরাটা এই সিরিজেও ঢেলে দিতে পারে।

ব্যাটিংয়ে তামিম যে ফর্মে রয়েছে সেটা ধরে রাখতে পারলে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা নিশ্চিত বেড়ে যাবে। আমার মনে হয় তার সঙ্গী হিসেবে ইমরুল কায়েসকে নামানো যেতে পারে। কারণ, প্রস্তুতি ম্যাচে ইমরুল দেখিয়েছেন, তিনি সেরা ফর্মে ফেরার অপেক্ষায়। অন্যদিকে সৌম্য সরকার যেহেতু অফ ফর্মে রয়েছে তাকে একটা ব্রেক দেয়া দরকার। তাহলে ফর্মে ফেরার তাগিদটা সৃষ্টি হবে তার ভেতর।

তিন নম্বরে সাব্বির রহমান ভালো করেছে শেষ ম্যাচে। তাকে তিনে ধরে রেখে মাহমুদুল্লাহ, সাকিব এবং মুশফিক- এভাবে ব্যাটিং অর্ডার সাজানো যেতে পারে। তবে মিডল অর্ডারে মুশফিকের রানের ফেরা খুবই জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশা করছি এই সিরিজেই সাকিব-মুশফিকরা রানে ফিরে আসবে। ৭ নম্বরে মোসাদ্দেক সৈকত দারুণ একজন ব্যাটসম্যান। শেষ ১০ ওভারে যে দুর্বলতা রয়েছে- আশা করি মোসাদ্দেক সৈকতের ব্যাটে সেটা কেটে যাবে।

এভাবে ব্যাটসম্যান এবং বোলাররা তাদের নিজেদের কাজগুলো ঠিকঠাকমত করতে পারলে আমার বিশ্বাস- নিশ্চিত জয়টা বাংলাদেশের কাছেই এসে ধরা দেবে। তবে, ইংলিশদের দুই স্পিনার আদিল রশিদ আর মঈন আলি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। স্পিনে তারাও বাংলাদেশের জন্য সমস্যা তৈরী করতে পারে। এছাড়া ইংলিশ বোলার ক্রিস ওকস, বেন স্টোকসরাও ভালো পারফরমার। তাদের সাম্প্রতিক খেলাগুলো দেখলেই বোঝা যাবে- কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন প্রতিপক্ষের জন্য। এ বিষয়গুলো আশা করি টিম ম্যানেজমেন্ট বিবেচনায় রাখবেন।

সবচেয়ে বড় কথা টিম মিটিংয়ে নিশ্চিত একটা পরিকল্পনা সাজানো হয়। সেই পরিকল্পনা পুরোপুরি না হোক ৭০ থেকে ৮০ ভাগ বাস্তবায়ন করতে পারলেও জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। বাকিটা অবশ্যই ভাগ্যের ব্যাপার।



মন্তব্য চালু নেই