বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করছে পাকিস্তান

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনারকে তলবের জবাবে এবার পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করছে পাকিস্তান।

নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের পাকিস্তানি সংস্করণ এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এই খবর দিয়েছে।

খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে যে তলব করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সেটি বুধবার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে এমপিদের কাছে বলেছেন ক্ষমতাসীন দলের এক এমপি।

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার‌্যকর হয় ২১ নভেম্বর। এ ঘটনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বিবৃতি দিলে ঢাকায় নিযুক্ত সে দেশের হাইকমিশনার ২৩ নভেম্বর তলব করে বাংলাদেশ সরকার। এ সময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলাতে পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় জানিয়ে দেয়া হয়।

এবার প্রতিবাদ হিসেবে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়, সাকা-মুজাহিদের বিচারকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ অভিহিত করে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের এমপিরা সর্বসম্মতভাবে নিন্দা জানান। এর এক দিন পর জাতীয় পরিষদ সদস্য শেখ আফতাব আহমেদ এ ঘটনা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) তোলার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়, বুধবার পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামির তোলা এক নোটিশের জবাবে জাতীয় পরিষদে বক্তব্য দেন শেখ আফতাব আহমদ। জামায়াতে ইসলামি থেকে দেয়া নোটিশে বলা হয়েছিল, ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তা লঙ্ঘন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

এর জবাবে আফতাব আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালে যে যুদ্ধ হয়েছে, তা ছিল পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে। যেসব মানুষ পাকিস্তানের সমর্থক ছিলেন তাদের বিচার করা ছিল অযৌক্তিক।

প্রতিবাদস্বরূপ ঢাকায় নিয়োজিত পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠানোর আহ্বান জানান পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ দলের এমপি শিরিন মাজারি।



মন্তব্য চালু নেই