বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তা আটক

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তাকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরা হলেন ডিলিং রুম শাখা ও আইটি কর্মকর্তা। একটি গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে তাদের নাম জানা যায়নি।

সংশ্লিষ্ট এক সূত্রের মাধ্যমে বুধবার জানা গেছে যে, তাদেরকে মঙ্গলবার আটক করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা চার কর্মকর্তাকে আটক করে। তাদের (গোয়েন্দা) মতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাক অব দ্য ডিলিং রুম শাখায় এ ঘটনার সূত্রপাত হলেও এর সঙ্গে আইটি বা সিস্টেম নিয়ে যারা কাজ করেন তাদেরও কেউ কেউ জড়িত। কেউ কেউ বলছেন, এই কাজের সঙ্গে একজন ডেপুটি গভর্নরও জড়িত আছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে ব্যাংকের লোকজন মনে করেন।

প্রযুক্তিগত এবং ইলেকট্রনিক এভিডেন্স খতিয়ে দেখে তারা এ বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই চার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। সাধারণত গোয়েন্দারা কোনো আসামির কাছ থেকে সঠিক তথ্য বের করে আনতে যে ধরনের জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল প্রয়োগ করে থাকেন, সে ধরনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আটককৃতদের কাছ থেকে তথ্য উদ্ধার করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় সিআইডি ইলেকট্রনিক এভিডেন্সকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এটা কোনো সাধারণ মামলা নয়। তাই তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে যা যা করণীয় তাই করা হবে। এ ক্ষেত্রে সদ্য পদত্যাগ করা গভর্নর ড. আতিউর রহমান এবং অপসারণ করা দুই ডেপুটি গভর্নর আবুল কাসেম ও নাজনীন সুলতানাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী বুধবার দুপুরে বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। সে যে পদমর্যাদার কর্মকর্তাই হোক।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শাহ আলমের নেতৃত্বে সিআইডির একটি তদন্ত দল বাংলাদেশ ব্যাংকে তদন্ত শুরু করেছেন। তদন্ত শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের জানানো হতে পারে।

ব্যাংকের অপর একটি সূত্র জানায়, ওই কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদেরও ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।

সূত্রটি আরো জানায়, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। সিআইডির সঙ্গে সরকারের একাধিক সংস্থা তদন্ত করছে। সে ক্ষেত্রে এ ঘটনায় কারা কীভাবে জড়িত, তা শিগগির বেরিয়ে আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।



মন্তব্য চালু নেই