বাংলাদেশ মেডিকেল ফিজিক্স সোসাইটির ৪র্থ বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বুধবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে এগারোটায় ইন্সটিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্স, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হল বাংলাদেশ মেডিকেল ফিজিক্স সোসাইটির ৪র্থ বার্ষিক সম্মেলন।

ক্যান্সার চিকিৎসায় বাংলাদেশে মেডিকেল ফিজিক্স শিক্ষা ও মেডিকেল ফিজিসিস্টদের ভূমিকার উপর গুরুত্ব আরোপ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ মেডিকেল ফিজিক্স সোসাইটির (বিএমপিএস) উদ্যোগে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ফিজিক্স ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ(এমপিবিএমই), ইন্সটিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিকেল ফিজিক্স প্রজেক্ট, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ইন্সটিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্স, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিওথেরাপী বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

সম্মেলনে বাংলাদেশ, জাপান ও জার্মানি হতে বিশেষজ্ঞসহ প্রায় ২৫০ জন প্রতিনিধি মোট ৪টি সায়েন্টিফিক সেশনে অংশগ্রহণ করেছে। সকাল ৯টা থেকে সারাদিনব্যাপী চলছে সায়েন্টিফিক সেশনে ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণা পত্রের উপস্থাপনা, বিশ্লেষণ ও দর্শকদের সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্ব।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ মনিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ক্যান্সার রিসার্চ অ্যান্ড হসপিটালের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানহ্যাইম মেডিকেল সেন্টারের রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের চীফ মেডিকেল ফিজিসিস্ট জনাব ফোকলোর স্টাইল। বাংলাদেশের মেডিকেল ফিজিক্সের পথপ্রদর্শক জার্মানির কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গোলাম আবু জাকারিয়া কী-নোট স্পীকার হিসেবে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইন্সটিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক অধ্যাপক ড. সানোয়ার হোসেন।

সম্মেলনে ক্যান্সার সম্বন্ধে সচেতনতা বাড়িয়ে বাংলাদেশে রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ে যেটুকু সুবিধা আছে তার সদ্ব্যব্যাবহার করে ক্যান্সার রোগী আরোগ্যের সংখ্যা কিভাবে বাড়ানো যেতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

এ বিষয়ে জার্মানির কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গোলাম আবু জাকারিয়া বলেন-“ক্যান্সার চিকিৎসায় কেমোথেরাপীর চেয়ে রেডিওথেরাপি অধিকতর উপযোগী। উন্নতবিশ্বে বর্তমানে এভাবেই ক্যান্সার নিরাময়ের কাজ চলছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সরকারের এ দিকে কোন নজর নেই।”

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে শুধুমাত্র সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল ফিজিক্স ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ৪ বছর মেয়াদী বিএসসি কোর্স ও ২ বছর মেয়াদী এমএসসি কোর্স সম্পন্ন করার সুযোগ রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই