বাংলা বুঝি না, তবে শুনতে মিষ্টি লাগে

চীন, জাপান, কোরিয়া এবং বাংলাদেশের স্কাউটদের নিয়ে গঠিত একটি প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে সিজেকে-বি। তিন দেশের ২৫ জন ও ৪৫ জন বাংলাদেশি স্কাউটদের নিয়ে গঠিত টিম গ্রাম পর্যায়ে কাজ করছে শিশু স্বাস্থ্য, নিরাপদ পানি, নিরাপদ মাতৃত্ব, স্যানিটেশন নিয়ে। প্রকল্পে তৃতীয় ধাপের ৮ দিনব্যাপী এ কাজ শেষ হয়েছে ২০ ফেব্রুয়ারি। ২১ তারিখ সবাই মিলে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে।

জাপান থেকে আসা স্কাউট দলটির নেতৃত্বে রয়েছে ওতাকা। ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে ইতিহাসটা সে ভালোই জানে। তার সঙ্গে কথা হয় ভাষা আন্দোলন, শহীদমিনারে মানুষের ঢল, বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ সম্পর্কে, বাংলাদেশের গ্রাম সম্পর্কে। ইংরেজিতে বেশ উচ্ছ্বসিত হয়েই বললো এসব বিষয়ে। এই কথপোকথনের চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো…

তুমি শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়েছিলে?
হ্যাঁ, ফুল দিয়েছি। অনেক সময় ছিলাম শহীদ মিনারে।

কাদেরকে স্মরণ করে এ দিনে ফুল দেয়া হয় জানো তুমি?
হ্যাঁ জানি। ১৯৫২ সালে তোমরা ভাষার জন্য আন্দোলন করেছিলে। এটা দারুণ। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকে ভাষার জন্য আন্দোলন করে মারা গেছে। যাদেরকে তোমরা শহীদ বলো। তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাতেই তো তোমরা এই দিনে শহীদ মিনারে আসো। আমরাও তাদের শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলাম।

শহীদ মিনারে অনেক মানুষ দেখে কী মনে হলো তোমার? 
হ্যাঁ, অনেক মানুষ। এটা ভালো, তোমরা সকলেই এখানে আসো। তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাও। সারা দেশের মানুষ তাদের শ্রদ্ধা জানায়। এটা খুবই একটা বড় কাজ, এটা সবসময় করা উচিত। তোমাদের শ্রদ্ধা জাননোর মানসিকতাটা আমার অনেক ভালো লাগে। এটা তোমাদের মাতৃভাষা দিবস। এখন তো এটা আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

তুমি কীভাবে বাংলা ভাষাকে মূল্যায়ন করবে একজন বিদেশি হিসেবে?
আমি জানি এটা তোমরা সংগ্রাম করে পেয়েছ। অনেক রক্ত দিয়েছ। তোমাদের জন্য ভাষাটার যত্ন করা প্রয়োজন, যাতে অনেক দিন বেঁচে থাকে।

বাংলা ভাষাটা কেমন লাগে তোমার? যখন তোমার আশেপাশে কেউ বাংলায় কথা বলে?
আমি বাংলা ভাষাটা এত ভালো বুঝি না। কেমন আছো, ভালো আছি, কী করো, ধন্যবাদ- এরকম কিছু কথা বলতে পারি। তবে আমি চেষ্টা করি মাঝে মধ্যে। লেখাটা বেশ কষ্টকর। তবে কেউ যখন কথা বলে তখন শুনতে মিষ্টি লাগে। আমি বোঝার চেষ্টা করি।

তুমি তো গ্রামে গিয়েছ। সেখানকার কোনো অভিজ্ঞতা…
ও হ্যাঁ। গ্রামে যখন আমি কাজ করলাম তখন অনেকেই আমার সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের কথা শুনে এবং ভাবভঙ্গি থেকে আমি অনেকটাই বুঝে গেছি, তারা আমাকে কী বলছে। তারা অনেক যত্নবান, অতিথিপরায়ণ, সহজ সরল। আমার অনেক ভালো লেগেছে। তাদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে অনেক এনজয় করেছি আমি।



মন্তব্য চালু নেই