বাকশাল সরকারের কাছে কখনো জনতার আওয়াজ পৌঁছাবে না

বাকশাল সরকারের কাছে কখনো (জনতার) আওয়াজ পৌঁছাবে না। পথের (জনতার) আওয়াজ কোনটা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যাবে, না যাবে- সেটি কোনো বাংলাদেশি গোয়েন্দা বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে না।

ডিজিএফআই, এনএসআই, পুলিশ সেটা (নিয়ন্ত্রণ) করে না। এটার জন্য ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ আছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার মুক্তির দাবিতে নাগরিক ছাত্র ঐক্য ও নাগরিক যুব ঐক্য যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোন খবর কোথায় যাবে, কাকে জানাতে হবে? এটা স্থির করে ‘র’। এটির মজা হলো, প্রধানমন্ত্রীর পায়ের নিচ থেকে আস্তে আস্তে মাটি সরে যাচ্ছে, অথচ সেটা উনি জানতেও পারেন না।

তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান (মান্না) গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেকে আত্ম নিয়োজিত করেছেন। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই উনি আওয়ামী লীগের সদস্য হয়েও দলটির ভেতরে থেকে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।

আজকে পর্যন্ত মাহমুদুর রহমানকে আওয়ামী লীগ থেকে বরখাস্ত করা কিংবা অব্যাহতি দেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ নেত্রীর নৈতিক দায়িত্ব, মাহমুদুর রহমান মান্নার বিষয়টি তাদের বিভিন্ন কাউন্সিলে আলাপ করা।

এ প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ আরো বলেন, আওয়ামী লীগে অনেক সিনিয়র নেতা আছেন। তারা কি জানেন না, ১ বছর ৩ মাস একটি দলের একজন রাজনৈতিক কর্মী বিনাবিচারে জেলে রয়েছেন। তিনি অসুস্থ। অথচ তাকে হাসপাতালে আনার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সও পাওয়া যায় না।

সে কি খুনি? সে কি ডাকাত? এটা চরম অমানবিক। এ জাতীয় (বর্তমান) সরকার এ ধরনের অমানবিক কাজই করে থাকেন। এই কারণেই দেশে হঠাৎ আশ্চর্যজনকভাবে এমন ঘটনা ঘটে যায়, আমরা কেউ কখনো তা কল্পনা করি না।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এ ট্রাস্টি বলেন, ‘উনি (মান্না) কী বলেছেন? ফোনে কথা বলেছেন। উনি তো বিদ্রোহের কথা বলেননি। ফোনে আলাপ করেছেন। ক্যান্টনমেন্টের আলাপের কথা। সোহাগী জাহান তনু মারা গেছে।

সেটা নিয়ে ক্যান্টনমেন্টের আলাপ হবে না? সামরিক বাহিনী হালুয়া-রুটি খাবে, সকলে ব্যবসা-বাণিজ্য করবে- তাদের কার্যকলাপ নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারবো না? আজকে যেভাবে দেশ এগুচ্ছে, সেটা কারো জন্যই মঙ্গলকর নয়।’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে আমরা দেশে শান্তি চাই। তবে শান্তি রাখার দায়িত্ব সরকারের ও মাননীয় প্রধান বিচারপতির। প্রধান বিচারপতি অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলছেন। কিন্তু উনি সুন্দর সুন্দর কাজ করছেন না। উনি গ্যালারির দিকে তাকিয়ে খেলছেন, ছক্কা মারছেন।

উনি যদি জনগণের লোক হয়ে থাকেন, তাহলে উনার নিজেরই সুয়োমুটো (স্বঃপ্রণোদিত রুল) করা উচিত ছিল- কেন আজকে পর্যন্ত তাকে (মান্না) হাজির করা হলো না। তা না হলে উনি যে উনার দায়িত্ব অবহেলা করছেন, সেজন্য মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে একদিন জনতার আদালতে আসতে হবে।

সে দিনের অবস্থা হয়তো এতো স্বাভাবিক থাকবে না। সে দিন কে কোথায় পালাবেন, জানি না। আমাদের ভাগ্যেও হয়তো অনেক কিছু ঘটে যাবে।’

নাগরিক ছাত্র ঐক্যের আহ্বায়ক নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্য ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই