বাগেরহাটে মন বসছে না রুবেলের!

গ্রামের বাড়ি ফিরতে ব্যকুল হয়ে থাকে মন। কখন মিলবে ছুটি, কখন চোখ ভিজবে পরিচিত মুখগুলো দেখে-পেশাদারির জীবনে এই মনোবাসনা মানবের নিত্যসঙ্গী। তবে বিপরীত চিত্রও আছে। অনেক দিন গ্রামে থাকলে কাজে ফিরতে একসময় ব্যকুল হয়ে ওঠে হৃদয়। পেসার রুবেল হোসেনের হয়েছে ঠিক সেই অবস্থা। ক্রিকেট ছেড়ে বাগেরহাটে পড়ে থাকতে একদমই ইচ্ছে করছে না তার।

ছুটিতে ক্রিকেটাররা যে যার মতো অবকাশ যাপন করছেন। কক্সবাজার থেকে ফিরে সাকিব চলে গেছেন আইপিএল খেলতে। মুস্তাফিজ গেছেন সাতক্ষীরা থেকে। মাশরাফি আছেন কাশ্মীর। তাসকিন শ্রীলঙ্কা থেকে মালদ্বীপ গিয়েছিলেন। গতকাল দেশে ফিরেছেন।

রুবেল ইনজুরি থেকে মুক্ত হয়ে বাগেরহাট চলে যান। বিসিবির চিকিৎসক যেদিন ছাড়পত্র দেন, তারপর দিনই ফেরেন শেকড়ের কাছে।

গতকাল ফোনে কথা হয় রুবেলের সঙ্গে। বললেন, ক্রিকেট ছেড়ে অলস বসে থাকতে আর ইচ্ছে করছে না। জল ছাড়া মাছ যেমন থাকে, তিনিও তেমন আছেন!

ইনজুরিতে পড়ে রুবেল বেশ বিপাকে পড়েন। বড় টুর্নামেন্টগুলো তো খেলতেই পারেননি, বাদ পড়েছেন বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও। অভিযোগ ওঠে, চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলেননি তিনি।

এই অবস্থায় আসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) রুবেলের জন্য হতে পারে সঞ্জীবনী সুধা। সেই সঙ্গে কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন শেষ কয়েক মাসের অর্থনৈতিক ক্ষতি।

‘আমার দিক থেকে কিছু ভুল ছিল। তাই চুক্তি থেকে বাদ পড়েছি। আমি একজন পেশাদার ক্রিকেটার। সুতারং বুঝতেই পারছেন গত কয়েক মাসে আমার কিছু ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু এখন আমি ফিরে আসার অপেক্ষায় আছি।’ বলেন রুবেল।

‘সামনে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ আছে। আমি লিগে ভাল করতে পারলেই ডাক পাব,’ বিশ্বাসের কথা বললেন পেসার।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় নিষিদ্ধ হন তাসকিন। ওই সময় রুবেলভক্তরা দাবি করছিলেন, বাগেরহাট এক্সপ্রেসকে দলে নেয়া হোক। রুবেল কি এমন কিছু ভেবেছিলেন?

‘আমি কখনোই এভাবে ভাবিনি। ইনজুরিতে ছিলাম। যার কারণে দুটি টুর্নামেন্ট মিস করেছি,’ মন্তব্য রুবেলের

তাসকিন না থাকলেও দলে ফেরাটা যে কঠিন হবে সেটা ভালো করেই জানেন রুবেল, ‘মাশরাফি ভাই আছেন। মুস্তাফিজ আছে, আছে আল-আমিন। সুতারং আমাকে ফিরতে হলে লড়াই করেই ফিরতে হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি ভালো একটি স্পেলই আমাকে লাল-সবুজের জার্সিতে ফিরতে সাহায্য করবে। সেই অপেক্ষায় আছি। কবে যে খেলব!’ কথা শুনে মনে হয়, যেন এখনই মাঠে নামতে চাইছেন বিশ্বকাপের নায়ক; অথচ কেউ তাকে নিবৃত করছে এই বলে, ‘আর কটা দিন সবুর করো, রসুন বুনেছি!’



মন্তব্য চালু নেই