বাঙালি ছেলেদের যে কারণে পছন্দ করেন মেয়েরা

বাঙালি ছেলেরা প্রেম নিয়ে ভাবে। প্রেমের কারণ নিয়ে ভাবে কী? মেয়েরা তাদের কাছে কী আশা করে? শুধু বাঙালি নয়, অবাঙালি মেয়েদেরও তাদের কাছে চাওয়া একই।

না, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। টাকাপয়সায় বাঙালি ছেলেরা এখন আর কম যান না। তবে এর বাইরেও এমন কিছু কিছু বিষয় আছে যেটা শুধু তাদেরই দখলে। বাঙালি মেয়েদের সঙ্গে সঙ্গে অবাঙালি মেয়েরাও তাই আকৃষ্ট হন। কেমন সেই গুণাবলি? যা শুধু বাঙালি ছেলের কাছেই চাওয়া যায়?

১। গায়ের জোর বা পয়সার জোর নয়, মনের জোরে তারা সবসময়ে সঙ্গ দেন। বলেন, ‘ভাবছ কেন? আমি তো আছি।’ প্রয়োজনে আলাদা হাড়ি হবে কিন্তু স্ত্রীর অপমান সইবে না।

২। নিজের ভাষার বাইরে ইংরেজি কিংবা হিন্দি একটা ভাষা অবশ্যই জানেন। বেড়াতে গেলে দারুণ সুবিধা মেলে। আর বেড়াতেও ভালবাসেন খুব। কথায় কথায়, ‘দি-পু-দা’ মানে দিঘা, পুরী, দার্জিলিং ছোটেন।

৩। বাঙালি ছেলে মানেই পেটুক। নিজের ইচ্ছেতেই তিনি খান এবং খাওয়ান। মেয়েদের আর লোভ প্রকাশ করতে হয় না। সুযোগ পেলে রান্নাঘরেও ঢুকে পড়েন বাঙালি ছেলেরা। সম্ভবত একমাত্র বাংলার ছেলেরাই ‘ফুচকা’ ভালবাসেন।

৪। বাঙালি ছেলেরা সাধারণত বড় হয়েও মায়ের আঁচল-ঘেষা হন। ফলে ঠিকঠাক ব্যালান্স করে চললে, শ্বাশুড়িকে একটু মানিয়ে নিলে মায়ের আদর ডাবল হতে পারে। গয়নার উত্তরাধীকার তো নিশ্চিত।

৫। আর কেউ হাত ধরে রাস্তা পার করে দিতে পারেন না। সাইকেলে বসিয়ে প্রেমও নয়। সেই সঙ্গে গান শোনানো, কবিতা শোনানো এমনকী প্রেমিকা বা স্ত্রীর জন্য কবিতা লিখতেও ওস্তাদ। সে যেমনই হোক।

৬। বাঙালি ছেলের সব বিষয়েই জ্ঞান থাকে। ধর্মেও, জিরাফেও। সুতরাং, যে কোনও বিষয়ে বিতর্ক জমানোর জন্য উপযোগী। তবে ঝগড়ায় খুব একটা পারদর্শী হয় না। এইটা কিন্তু মেয়েদের একটি বড় অ্যাডভান্টেজ।

৭। বাঙালি ছেলে মানেই মজারু। সব বিষয়ে অফুরন্ত জোকসের ভাণ্ডার। নিজেকে আঁতেল প্রমাণ করতে থিয়েটার থেকে ধ্রুপদী সঙ্গীতের অনুষ্ঠান কিংবা বাউল মেলা সবেতেই আগ্রহ।

৮। সাধারণত অলস। ছুটির দিনে সে আলসেমি আরও বাড়ে। ফলে মেয়েরাও জানেন, শুধু সঙ্গ দিতেই আলসেমি করা যাবে। কেউ কিছু বলতেও পারবে না। স্বামীর সঙ্গ দেওয়া যে কর্তব্য। সুতরাং, ‘হোম-ডেলিভারি’-তে আপত্তি নেই।

৯। বাঙালি ছেলেদের একটা পাড়ার ‘বড় ভাই’ ফ্যক্টর আছে। সে যেমন মাপেরই হোক— ‘বড় ভাই’ বটে। তাই পাড়ার যে কোন অনুষ্ঠানে অবাধ প্রবেশাধিকার। পাড়ার ফাংশানে নিশ্চিত চান্স।

১০। বাঙালি যুবকদের কথায় কথায় মাথা গরম হয় না। রাস্তা ঘাটে তারা মাস্তানি করে না। এক কথায় ‘নন-ভায়োলেন্ট’। ঠান্ডা মাথা। ঘরেও, বাইরেও। ঝামেলা, ঝঞ্ঝাট এড়িয়ে ঘর-মুখো।



মন্তব্য চালু নেই