টাওয়ার হ্যামলেটস মেয়র নির্বাচন

বাঙালি রাবিনা নাকি ইংরেজ জন, কে জিতবে?

যুক্তরাজ্যের লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। আগামী ১১ জুন অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন। এতে মোট ১০ মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে লেবার দলের প্রার্থী হয়েছেন জন বিগস। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন আরেক মেয়র লুৎফুর রহমান সমর্থিত প্রার্থী রাবিনা খান।

অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন- কনজারভেটিভ পার্টির লিডার গোল্ডম জন ফস্টার, রেড ফ্ল্যাগ এন্টি করাপশনের প্রার্থী এলিড আলাস, এনিমেল ওয়েল ফেয়ার প্রার্থীর রেনেসা জেলেন হাডসন, ইউকিপের নিকোলাস ম্যাকুইন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজ আব্দুল কাদির ও মো. মতিউর রহমান নানু।

এদের মধ্যে নির্বাচনে রাবিনা খান ও জন বিগসের মধ্যেই মূলত হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে। গত বছরের ২২ মে অনুষ্ঠিত টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মেয়র পদের নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ওই নির্বাচন বাতিল করার দাবি জানিয়ে আদালতে পিটিশন করা হয়। ওই পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ এপ্রিল ওই নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করেন আদালত। একই সঙ্গে ওই নির্বাচনে বিজয়ী মেয়র লুৎফুর রহমানকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়। সেই সঙ্গে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করা হয় লুৎফুর রহমানকে।

কিন্তু এই অঞ্চলের রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেননি লুৎফুর রহমান। কমিউনিটির একটা অংশের সমর্থন নিয়ে তিনি নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। নিজে নির্বাচন করতে না পারলেও তার গ্রুপ থেকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে রাবিনা খানকে। গত দেড় টার্মে রাবিনা খান হাউজিং কেবিনেটে সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। লেখক হিসেবেও রাবিনা খানের আলাদা পরিচিতি রয়েছে। ‘হিরো অব দ্যা ইয়ার’ হিসেবে ইউরোপিয়ান ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন তিনি।

মাত্র চার বছর বয়সে বাবা-মা’র সাথে ব্রিটেনে এসেছিলেন রাবিনা খান। সিলেটের এক নিভৃত পল্লীর মেয়ে রাবিনা খান। এমবিএ ডিগ্রিধারী রাবিনা খান জানিয়েছেন, লুৎফুর রহমানের অসামাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্যেই তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদী তিনি। বললেন, ‘ইনশাল্লাহ জয়লাভ করবো।’

অপরদিকে জন বিগস একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। এক সময় টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের লিডার হিসেবে নেতৃত্বে ছিলেন। জিএলএ মেম্বার হিসেবেও দায়িত্ব পালনে তিনি বেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। গত নির্বাচনে মেয়র লুৎফুর রহমানের কাছে তিনি হেরে যান। এবার জন বিগস লড়াই করছেন রাজনীতিতে তুলনামূলক আনকোড়া এক মুখের সঙ্গে। জন বিগসের সাথে রয়েছে লেবার পার্টির মতো একটি বড় দলও। ওই দলের সিনিয়র নেতারা তার পক্ষে মাঠেও নেমেছেন, তার হয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

পক্ষান্তরে রাবিনা খান অনেকটাই একা। রাবিনা খানের ভরসা বলতে কেবল মাত্র লুৎফুর রহমানের জনপ্রিয়তাই পুঁজি। এছাড়াও টাওয়ার হ্যামলেটসে প্রচুর পরিমানে বাঙলি থাকায়ও নিজেকে শক্তিশালী প্রার্থী মনে করছেন রাবিনা।



মন্তব্য চালু নেই