বাচ্চার হঠাৎ জ্বর?

শীতের হিমেল হাওয়া লেগে বড়রা অনেকেই সর্দি-জ্বরে ভুগছেন। ছোটদের ক্ষেত্রে এর প্রকোপ আরও বেশি। সারাক্ষণ নজরে রাখা, গরম কাপড়ে উষ্ণ রাখা, খাবার দাবারেও বেশ সচেতন- তবু বাড়ির শিশুটির জ্বর জ্বর ভাব, গলাব্যথা, কাশি, মাথাব্যথা, শরীরের যন্ত্রণা, খাবারে অরুচি, বমি বমি ভাব ইত্যাদি লেগেই আছে। এই পরিস্থিতিতে আপনার সোনামনির দরকার সঠিক যত্ন। তার হঠাৎ জ্বর হলে আপনাকে যা করতে হবে..

শিশুর জ্বর হলে প্রথমেই তার খাবার হিসেবে বেছে নিন তরল জাতীয় খাবার। পরিমিত পানির সঙ্গে গরম স্যুপ, আদা-চা, জুস ইত্যাদি পান করাতে পারেন। আদা চায়ের মতো পানীয় গলাব্যথা ও মাথাব্যথা দূর করতে সহায়ক হবে।

বাচ্চার শরীরে শক্তি বাড়াতে দুধের সঙ্গে এক ইঞ্চি কাঁচা হলুদ টুকরো করে ফেলে দিতে পারেন। এবার ভালো করে জ্বাল দিন। পাঁচ মিনিট ফোটার পর হলুদ ফেলে দিয়ে চিনি বা মধু মিশিয়ে শিশুকে দুধ পান করান। দ্রুত জ্বর নিরাময় ও ব্যথা দূর হবে। সোনামনির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে অনেক বেশি।

হালকা সর্দি-জ্বরে তুলসি রস আর মধু দারুণ কাজ দেয়। প্রতিদিন সকালে বাচ্চাকে জোর করে হলেও এক চামচ তুলসির রস আর সামান্য মধু খাইয়ে দিন। দেখবেন সমস্যা দ্রুত পালিয়েছে। কাশির সমস্যায় উষ্ণ গরম পানিতে কিছুটা মধু গুলে খাওয়ালেও দারুণ কাজ হয়।

শীতের এই সময়টাতে শিশুর সুস্থতায় পর্যাপ্ত ফলমূল ও সবজি খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। এগুলো মুখে ভালো না লাগলে আমলকী, লেবু ও ভাতের সঙ্গে কাঁচামরিচ খাওয়ালে রুচি ফিরবে।

জ্বর হলে গোসলে বিরত না থেকে নিয়ম করে প্রতিদিন একই সময়ে করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। শীতের সময় হালকা গরম পানিতে গোসল করানো ভালো। ঠাণ্ডা লাগার ভয় কম থাকে। চুল ও শরীরের পানি ভালো করে মুছে দিতে হবে, যাতে নতুন করে ঠাণ্ডা না লাগে। বেশি সমস্যা মনে হলে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই