বাটলার-ব্যারেস্টর জুটি ভাঙলেন তাসকিন

ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন শেষ দিকে এসে। বল হাতে ঝড় তুললেন শুরুতেই। ২৩৮ রানের পুঁজি নিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করাটা বেশ দুরহ। এমন পরিস্থিতিতে মাশরাফি বিন মর্তুজার সামনে শুরুতেই চাপে পড়ে গেলো সফরকারী ইংল্যান্ড। মাশরাফি তোপে মাত্র ২৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে ইংল্যান্ড।

তবে এরপর জনি ব্যারেস্ট আর অধিনায়ক জস বাটলারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ড। যে ঝড় মাশরাফি-সাকিব তুলেছিলেন, সেটা ধরে রাখতে পারেনি তাসকিন-শফিউল কিংবা নাসিররা। বরং বাংলাদেশের বোলারদের বেশ স্বচ্ছন্দেই খেলে ম্যাচ বের করে নেয়ার দিকে মনযোগি ইংল্যান্ড।

তবে ৭৯ রানের জুটি গড়ার পর তাসকিনের তোপে বিচ্ছিন্ন হলেন তারা দু’জন। তাসকিনের অসাধারণ এক বাউন্সারে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন জনি ব্যারেস্ট। ৫৩ বলে ৩৫ রান করেন তিনি।

এ রিপোর্ট লেখার সময় ইংল্যান্ডের রান ২৩.৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৫। ৪৫ রানে ব্যাট করছেন জস বাটলার, তার সঙ্গী হলেন মঈন আলি। জয়ের জন্য প্রয়োজন এখনও ১৩৪ রান।

এর আগে জয়ের জন্য ২৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। সফরকারীদের সামনে খুব বেশি কঠিন লক্ষ্য নয়। তবে বাংলাদেশের বোলাররা যদি চেপে ধরতে পারে শুরুতেই, তাহলে জয়টা বাংলাদেশের হাতেও ধরা দিতে পারে। সে লক্ষ্যেই শুরুতে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ স্পিন দিয়ে। সাকিব আল হাসানকে দিয়েই আক্রমণ শুরু করালেন মাশরাফি।

অন্য প্রান্তে মাশরাফি নিজেই বোলিং ওপেন করলেন এবং নিজের দ্বিতীয় ওভারেই ব্রেক থ্রু এনে দিলেন বাংলাদেশকে। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে জেমস ভিন্স মাশরাফির বলটিতে শট খেলতে গেলেন; কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ উঠে গেলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ক্যাচটি তালুবন্দী করলেন।

পরের ওভারেই গত ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাট করা বেন ডাকেটকে সরাসরি বোল্ড করে ফেরালেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের ইনসুইঙ্গার রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে গিয়েছিলেন; কিন্তু ব্যাট ফাঁকি দিয়ে সোজা বলটি আঘাত হানে স্ট্যাম্পে।

মাশরাফি ঝড় থামার কোন লক্ষ্মণ ছিল না। তার সেই ঝড়ে উড়ে গেলেন ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় এবং গত ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ান বেন স্টোকস। স্টোকসের তো স্ট্যাম্পই উড়িয়ে দিলেন তিনি। ইনিংসের ৮ম ওভারের পঞ্চম বলে জেসন রয়কে লেগ বিফোর আউট করে ফেরালেন মাঠের বাইরে।

এরপরের ওভারের চতুর্থ বলে বেন স্টোকসকে করলেন বোল্ড। গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ার, আজ ফিরলেন পুরো ডাক মেরে। ২৬ বলে ইংলিশদের পড়লো ৪ উইকেট।



মন্তব্য চালু নেই