বাণিজ্যমেলার রেস্টুরেন্ট, নাকি কসাইখানা

খাবার হোটেল নাকি কসাইখানা! এ প্রশ্ন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় আসা দশনার্থীদের। প্রতিটি হোটেল নিজের ইচ্ছামতো খাবারের গলাকাটা মূল্য নিচ্ছে। নেই কোনো মূল্য তালিকা। যার কাছ থেকে যেভাবে পারা যায়, আদায় করে নিচ্ছেন হোটেল কর্মীরা।

রোববার (০৩ জানুয়ারি) ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ঘুরে দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া যায়। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষও বেশি দাম নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।

বাণিজ্যমেলার অস্থায়ী খাবার হোটেলগুলোতে নেই কোনো মূল্য তালিকা। হোটেল মালিকরা ইচ্ছেমতো দাম হাকিয়ে নিচ্ছেন ক্রেতাদের কাছ থেকে।

বাণিজ্যমেলায় আসা দর্শনার্থীদের নিজ রেস্টুরেন্টে নেওয়ার জন্য হোটেল বয়দের অনুরোধেরও শেষ নেই।

তবে মেলায় অংশ নেওয়া রেস্টুরেন্টগুলোর খাবার অনেকটা খোলামেলা পরিবেশেই তৈরি করা হচ্ছে। ধুলা-বালির মধ্যেই তৈরি করা হচ্ছে গ্রিল, চিকেন ঝাল ফ্রাই, বার-বি কিউ, শিক কাবাব, চটপটি, ফুচকা, চাপ, নুডুলস।

প্রতি বছর মেলার রেস্টুরেন্টগুলোতে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) খাবারের মূল্য তালিকা নির্ধারণ করে দিলেও এবার এখন পর্যন্ত কোনো মূল্য তালিকা দেওয়া হয়নি।

হাজী বিরিয়ানির ম্যানেজার অলিউর রহমান বলেন, ‘ইপিবি এখন পর্যন্ত কোনো মূল্য তালিকা দেয়নি। তাই আমরা গত বছরের মূল্যই রাখছি। হয়তো দুই একদিনের মধ্যে মূল্য তালিকা দেবে।‍

হাজী বিরিয়ানির চিকেন বিরিয়ানি হাফ ২৯০ টাকা, বিরিয়ানি ২৭০ টাকা, কাচ্চি ৩৪০ টাকা, চটপটি এক প্লেট ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, ফুচকা এক প্লেট ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।

হাজী নান্নার বিরিয়ানি রেস্টুরেন্টে কাচ্চি বিরিয়ানি ৩৫০ টাকা ফুল, চিকেন হাফ ১৫০ টাকা। এছাড়া বার্গার ১০০ টাকা, ফুচকা ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা।

একইভাবে হট অ্যান্ড স্পাইস রেস্টুরেন্ট, গ্রিন ফুড রেস্টুরেন্ট, স্টার কাবাবসহ বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট নিজস্ব মূল্য নিচ্ছে ক্রেতাদের কাছ থেকে।

মেলায় ঘুরতে আসা সৌরভ জামান বলেন, বান্ধবীকে নিয়ে মেলায় এসেছি। ভেবেছিলাম, অল্প টাকার মধ্যে দু’জন ফুচকা খাবো। তবে দুই প্লেট ফুচকা খাওয়ার পর বিল ধরিয়ে দেওয়া হলো ২৫০ টাকা।

আক্ষেপ করে সৌরভ বলেন, এসব হোটেল নাকি কসাইখানা! দুই প্লেট ফুচকার মূল্য ২৫০ টাকা। ফুচকার মূল্য হিসেবে নিয়েছে ২০০ টাকা আর সার্ভিস চার্জ ৫০ টাকা।

হাজী বিরিয়ানির ইনচার্জ তপন কুমার এ বিষয়ে বলেন, মূল্য বেশি না। আসলে ক্রেতারা বাইরে ফুটপাথে একটু কম মূল্যে খেয়ে বেশি অভ্যস্থ। তাই তাদের কাছে মনে হয়, এখানে বেশি মূল্য নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, মানসম্মত খাবার খেতে হলে তো একটু বেশি টাকা দিতেই হবে। তাছাড়া মেলায় একমাসের জন্য আমাদের যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের দাম নির্ধারণ করতে হয়।-বাংলানিউজ



মন্তব্য চালু নেই