বাদপড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের অর্ন্তভূক্ত করে দ্রুত গেজেট প্রকাশের দাবি

সরকার দুলাল মাহবুব, রাজশাহী থেকে: রাজশাহীতে বাদপড়া ২৭টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির অন্তর্ভুক্তি ও স্বীকৃতি দিয়ে দ্রুত গেজেট প্রকাশের দাবি জানানো হয়েছে। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলন থেকে আনুষ্ঠানিক এ দাবি জানানো হয়। সকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবে মাহালে ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এমএলডিসি) এ আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল “ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন-২০১০” পাশ হলে ধারা (ধারা ২(১) এবং ১৯ দ্রষ্টব্য) এর তফশীলে ২৭টি জাতিগোষ্ঠীর তালিকা প্রকাশিত হয়। এই তালিকা থেকে মাহ্লে, মাহাতো, মালো, রাজোয়াড়সহ আরো প্রায় ২৭টি সমতলের আদিবাসী/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি জাতিগোষ্ঠীর নাম বাদ পড়ে।

সংবিধানে দেশে বসবাসরত আদিবাসী জাতিসমুহকে উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিস্বত্ত্বা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি নামে অভিহিত করে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু ওই আইনে মাত্র ২৭টি জাতিকে স্বীকৃতি দেয়া হলেও বাদপড়া অন্য জাতি সমুহের স্বীকৃতি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে বাদপড়াদের সংস্কৃতি, উৎসব, ও ভাষা আজ বিলুপ্তির পথে। অনেকেরই বিলুপ্ত হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এর আগে এ নিয়ে এমএলডিসি, মাসাউস এবং মাহালে দিঘর-বাইসী আলাদা সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানায়। একই সঙ্গে বাদপড়া জাতিগোষ্ঠিগুলোকে তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করে গেজেট প্রকাশেরও জন্য দাবি জানায়। এ নিয়ে শুরু হয় আন্দোলন। পরে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, বর্তমানে বাদ পড়া আদিবাসী/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি জনগোষ্ঠির তালিকা সংগ্রহ করেছে সরকার। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় একটি কমিটি করে কয়েক দফা বৈঠকে চুড়ান্ত তালিকাও প্রস্তুত করেছে। কিন্তু এখনো ওই তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ হয়নি। সংবাদ সম্মেলন থেকে দ্রুত গেজেট প্রকাশের দাবি জানানো হয়। এছাড়া গেজেট প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আদিবাসী/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সনদ প্রদানের দাবিও জানানো হয়। পরে ৩০ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে ২ অক্টোবর বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ডাক দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, এমএলডিসি কেন্দ্রীয় সভাপতি মেরিনা হাঁসদা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, দিঘর বাইসী প্রধান সিষ্টি বারে, এমএলডিসি সদস্য জোসেফ মার্ডি, সুজন বারে, পরেশ মার্ডি, জাকারিয়াস ডুমরী প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই