বাদ পড়ে যা বললেন আল আমিন

পেসার আল আমিনকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচের জন্য ১৩ সদস্যের দলে না রাখার পেছনে যুক্তিসঙ্গত কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছেন কেবল ফিল্ডিং আর ফিটনেস সমস্যার কথা।

আল আমিন অবশ্য এসব ‘অভিযোগ’ মাথা পেতেই নিয়েছেন। দৈনিক প্রথম আলোকে সমস্যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় থাকা এই ক্রিকেটার বললেন, ‘দলে নেওয়া-না নেওয়া টিম ম্যানেজমেন্টের বিষয়। যদি আমার ফিটনেস সমস্যা থাকে, চেষ্টা করব আরও বাড়ানোর। চেষ্টা করব ফিল্ডিংয়ে আরও উন্নতি করতে, যাতে আবারও দলে সুযোগ পাই।’

২০১৫ বিশ্বকাপের মাঝ পথেই শৃঙ্খলাজনিত কারণে দেশে ফেরত পাঠানো হয় এই পেসারকে। বেশ কিছুদিন দলের বাইরে থাকার পর নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দলে ফিরেছিলেন সেখানে তিন ওয়ানডেতে নেন ৪ উইকেট। সেটাই তার শেষ ওয়ানডে খেলা, বাংলাদেশেরও।

এর পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ উইকেট আল-আমিনের। ১৬ ম্যাচে তার ২৭ উইকেট; গড় ১৩.৮৫, ইকোনমি ৭.৫। দ্বিতীয় স্থানে আছেন সাকিব আল হাসান। তার উইকেটসংখ্যা ২০। আবার সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ৫০ ওভারের ফরম্যাটে ১৬ ম্যাচে ২৫ উইকেট নিয়ে শীর্ষ পাঁচে ছিলেন আল-আমিন। তার পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া শফিউলের ১০ ম্যাটে উইকেট সংখ্যা ১১।

আল আমিনকে বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গে একদিন আগে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক নান্নু বলেছিলেন, ‘ওর ব্যাপারে কিছু নেতিবাচক কথা এসেছে।’ কি সেই নেতিবাচক কথা? – সেই নিয়ে সংবাদ সম্মেলন কক্ষ যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়েছিল।

নান্নু জানিয়েছিলেন সমস্যাটা ফিটনেস আর ফিল্ডিং সমস্যা, ‘আল-আমিন ও শফিউলকে নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ফিটনেস এবং অন্যান্য সব কিছু নিয়ে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে শফিউলকে নিয়েছি। তবে আমাদের সামনে আরো খেলা আছে, আল-আমিনকে ফেরানো হতে পারে। এমন না যে ও একদম বিবেচনার বাইরে চলে গেছে।’

কোচ কি আল আমিনকে অপছন্দ করেন কি না – এমন প্রশ্নও উঠেছে প্রকাশ্য সংবাদ সম্মেলনে। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু অবশ্য সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘আল-আমিনকে না নেওয়ার ব্যাপার কোচের পছন্দ-অছন্দের কিছু নেই। যদি আল-আমিন ও শফিউলের ফিল্ডিং দেখেন, তাহলেই পার্থক্যটা চোখে পড়বে। বোলিংয়ে শফিউল অনেক অভিজ্ঞ। তাকে নেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন পদ্ধতিতে থাকা সবার সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। আর কন্ডিশনিং ক্যাম্পে শফিউল খুব উন্নতি করেছে।’

তবে, আল আমিনের এই ‘ফিটনেস’ সমস্যার ব্যাখ্যাও ধোপে টিকছে না। কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ফিটনেসে আল আমিন ছিলেন সেরাদের একজন। সেখানে সাব্বির রহমানই আল আমিনের চেয়ে ভালো করেছেন। এমনকি, ২০১৩ সালের অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর কখনোই চোটের কারণে দলের বাইরে থাকতে হয়নি তাকে।



মন্তব্য চালু নেই