বান্দরবানের লামায় যুবক নিহত, শোকে মাতন মা পাখি বেগম

মোহাম্মদ শামছুদ্দোহা, জেলা প্রতিনিধি, বান্দরবান: বান্দরবানের লামায় হাসপাতাল সংলগ্ন হাসপাতাল পাড়ায় মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১জনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিবেশীরা। নিহত আব্দু শুক্কুর (২০) হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা মোঃ কবির এর ছেলে। ৩ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতের মা পাখি বেগম(৪২) এ প্রতিবেদককে জানায়, ২রা মার্চ বুধবার দুপুরের দিকে তার ছেলে আব্দু শুক্কুরের একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। মোবাইল ফোনটি চুরির ব্যাপারে তাদের পার্শ¦বর্তী তাজুল ইসলাম (৩৮) এর মেয়ে সীমা (১৮) ও লিমা (১৫) কে সন্দেহ করা হয়।

তাজুল ইসলামের মেয়েদের সন্দেহ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে আমার বাড়িতে এসে প্রচন্ড ছেলেকে মারধর করে। তাজুল ইসলাম তার স্ত্রী রিনা (৩২) ও দুই মেয়ে সীমা এবং লিমা ৪জন মিলে আমার ঘরের ভিতরে ফেলে আমার ছেলেকে কিল ঘুসি ও লাথি মারে। প্রচন্ড মারধর করায় ঘটনাস্থলে শুক্কুর মারা যায়। এক সপ্তাহ আগে পার্শ্ববর্তী ফাতেমা আক্তারের সাথে আব্দু শুক্কুর এর বিবাহ সম্পন্ন হয়।

পার্শ্ববর্তী লোকজন শোরগোল শুনে এগিয়ে এসে শুক্কুরকে লামা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার বলেন, শুক্কুর আগেই মারা গেছে। শুক্কুরে মৃত্যু খবরটি ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ হাসপাতালে তাকে দেখতে ছুটে আসে। পরবর্তীতে লামা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং তাজুল ইসলাম ও তার ছোট মেয়ে লিমাকে গ্রেফতার করে। খুনি রিনা ও তার মেয়ে সীমা পালিয়ে যাওয়ায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে জানায় লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রবিউল হোসেন।

লামা থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে। এছাড়া হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।



মন্তব্য চালু নেই