বাবা-মা হত্যায় খালাস চেয়ে আপিল করেছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঐশী

পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত তাদের মেয়ে ঐশী রহমান নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আপিল আবেদন করেন তার আইনজীবী আফজাল এইচ খান।

মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে ২৫ পৃষ্ঠার এ আবেদন করা হয় বলে মামলার আরেকজন আইনজীবী মাহাবুব হোসেন রানা জানিয়েছেন।

আপিল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ মামলার রায়ে অনেকগুলো বিষয়ে অসঙ্গতি রয়েছে। সে বিষয়গুলো তুলে ধরেই মূলত আমরা আপিলটি দায়ের করেছি। ঐশীর চাচা মশিউর রহমানের তত্ত্বাবধানেই নিম্ন আদালতের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করেছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাইকোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ জানিয়েছেন, ঐশীর মামলার পেপারবুক তৈরি করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ঐশী রহমানকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। একই মামলায় ঐশীর বন্ধু আসামি মিজানুর রহমান রনিকে দু’বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও একমাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। ঐশীর আরেক বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি মুক্তি পেয়েছেন।

গত ১৩ নভেম্বর মামলাটির রায় ঘোষণা করেন ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ। বাবা ও মাকে পৃথকভাবে খুনের জন্য পৃথক দুটি অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। দুটি অপরাধের গুরুত্ব বোঝাতে ঐশীকে দুইবার ফাঁসি ও দুইবারে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে হাইকোর্টের অনুমোদন ছাড়া এ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে না। এজন্য মামলার রায় ঘোষণার প্রায় এক সপ্তাহ পর ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয় হাইকোর্টে।

এদিকে ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরদিন ঐশী গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে গ্রেপ্তার করা হয় অন্য দুই আসামি রনি ও জনিকে।



মন্তব্য চালু নেই