সম্ভাবনাময় পাম চাষ জনপ্রিয় ও ফলন ভালো হলেও

বালিয়াকান্দিতে পাম ভাঙ্গানো মেশিন না থাকায় চাষীদের মধ্যে হতাশা

পাম চাষ ব্যাপক জনপ্রিয় ও ফলন ভালো হলেও সম্ভাবনাময় পাম চাষীদের মধ্যে এখন হতাশা বিরাজ করছে। উৎপাদন ব্যাপক হলেও পাম ভাঙ্গানো মেশিন না থাকার কারনে শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা এখন চাষীদের মাঝে। পাম চাষ লাভজনক হলেও অন্য এলাকায় বিক্রি করার ফলে বাজার মুল্য থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার খোর্দ্দমেগচামী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা খায়রুল বাশার খানের দুই ভাতিজা জীবন ও জিবিকার তাগিদে পাড়ি জমায় সুদুর মালয়েশিয়া ।

সেখানে পাম বাগানে কাজ করে দীর্ঘদিন। সেখানে বসেই অনুপ্রেরনা ও সাহস যুগিয়েছে তার চাচাকে। চাচা উপজেলা আনছার ভিডিপি কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল বাশার খান এলাকায় সর্বপ্রথম ২০১১ সাল থেকে পাম চাষ শুরু করেন। সাথে সাথী ফসল হিসাবে বড় আমের চাষ করেন। সেখান থেকেও প্রতিবছর আয় হচ্ছে ৫-৭ লক্ষ টাকা। তার পথ অনুসরন করে অনেকেই আম চাষের দিকে ঝুকেছেন। এখন তারাও পাম চাষ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল বাশার খান জানান, নিজের আট একর জমিতে মল্লিকা, আ¤্রপালি, লেংরা, হিমসাগরসহ বিভিন্ন প্রজাতির পৌনে ৪শত আমের গাছ রোপন করা হয়। তা থেকে প্রতিবছর ৫-৭ লক্ষ টাকা আয় হয়। ভাতিজাদের অনুপ্রেরনায় ২০১১ সালে প্রথম পর্যায়ে যশোহর থেকে ২শত পামের চারা এনে রোপন করি। এখন আম বাগানের মধ্যে দিয়ে পামের চারা রয়েছে সহ¯্রাধিক। ২শতাধিক গাছে ফল ধরেছে।

তিনি আরো জানান, পামের গাছে প্রতিবছর ২/৩বার ফল কাটা যায়। একটি গাছ লাগালে ৪০ বছর পর্যন্ত টানা ফল পাওয়া যায়। আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারনে প্রতিটি গাছ থেকে ১শত কেজির বেশি পরিমান ফল পাওয়া যায়। তবে কোন মিল না থাকার কারনে বিক্রি করছে যশোর বা চুয়াডাঙ্গা এলাকার সাথে যোগাযোগ করতে হয়। এতে করে আশানুরুপ লাভ হচ্ছে না।

তিনি আরো জানান, সরকারী সহযোগিতা পেলে পাম ভাঙ্গানো মেশিন স্থাপন করব। বাকী জমিতে পুনরায় গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নিচ্ছি। আমার বাগান দেখে অনেকেই পাম চাষের আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এতে করে এলাকাকে পাম পল্লী গড়ে তোলার স্বপ্ন পুরন হবে অন্যদিকে এলাকার বেকার সমস্যার সমাধান হবে। তবে পাম ভাঙ্গানো মেশিন নিকটবর্তী এলাকায় গড়ে না উঠায় অনেকেই এখন পাম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই