বালিয়াকান্দিতে বিদ্যালয়ে সিঁড়ি ছাড়াই দ্বিতল ভবনের কাজ সম্পন্ন : শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যহত

রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বারুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের কাজ সিঁড়ি ছাড়াই সম্পন্ন করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এ ঘটনায় তদারকি কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দ্বিতল ভবনের সিড়ি না থাকার কারণে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান করার জন্য কোন রুম ব্যবহার করা সম্ভব না হওয়ায় রবিবার প্রধান শিক্ষক উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত ভাবে দ্বিতল ভবনে উঠার সিঁড়ি নির্মাণের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

বারুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সাবু জানান, বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বারুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১০-২০১১ অর্থবছরে একতলা ভবনের উপরিভাগে উপজেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত ২লাখ ৮০ হাজার টাকায় ঠিকাদার হারুন মিস্ত্রি দ্বিতল ভবনের ইটের গাথুনির কাজ করে। অবশিষ্ট টিন সেড, জানালা, দরজা সহ আনুসঙ্গিক কাজ উপজেলা পরিষদ চলতি বছরে ৯ লাখ ৩ হাজার ৭শ সাতাত্তর টাকা টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ পান এক প্রভাবশালী ঠিকাদার মেসার্স জিএম ট্রেডার্স।

ওই কাজটি করে ঠিকাদার সাগর। ঠিকাদার কাজের শুরুতেই নি¤মানের সামগ্রী ব্যবহারসহ নির্মান কাজে টিনের ছাউনীর ক্ষেত্রে যে পরিমান লোহার পাতের প্রয়োজন তা ব্যবহার করা হয়নি। ঘরের ভিতরে দাড়ালেই দু,-টিনের মাঝ দিয়ে সূর্যের রশ্মি চোখে পড়ে। দ্বিতল ভবনের উঠার সিঁড়ি পুরোটাই নির্মান করা হয়নি। তাহলে তদারকি কর্তৃপক্ষ উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি দায়িত্ব পালন কি করে হলো এটা তার প্রশ্ন।

তিনি আরও জানান, স্কুলে সাড়ে তিনশত ছাত্র্ছাত্রী রয়েছে। কক্ষ সংকটের কারণে ক্লাসে জায়গা না হওয়ার জন্য দ্রুত ভবন নির্মান করা হয়। কিন্তু সেই ভবনে সিড়ি নির্মান না করেই কিভাবে কাজ সম্পন্ন করলো। এ ঘটনা এলাকায় প্রকাশ পাওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুল হক জানান, আমি উপজেলায় যোগদানের পূর্বে এষ্টিমেট করা হয়েছিল। এস্টিমেটে সিড়ি ধরা নেই।

বারুগ্রাম স্কুলের প্রধান শিক্ষক পঞ্চানন দাস জানান, দ্বিতল ভবন নির্মান কাজ সম্পন্ন করা হলেও দ্বিতীয় তলায় উঠার কোন সিড়ি না থাকার কারণে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান করার জন্য কোন রুমই ব্যবহার করা সম্ভব হচ্চে না। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দারুন ভাবে ব্যহত হচ্ছে। এ কারণে রবিবার সিড়ি নির্মানের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন জানানো হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই