বালিয়াকান্দি ভাই ভাই নার্সারীতে এবছর ৫০ লক্ষ টাকার চারা বিক্রি হবে

বেকারত্ব কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল, কি করলে কি হয় ভেবে পাচ্ছিল না আলম প্রধান। গাছকে ভালো বেসে বাড়ীতে গাছ লাগানো ছিল তার শখ। শখ থেকেই ২০০০ সাল থেকে শুরু করেন নার্সারী । ২০০৩ সালে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ট নার্সারী মালিকের স্থান পাওয়ায় তার আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দেয়।

নিজবাড়ী রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের বালিয়াকান্দি গ্রামে এখন পারিবারিক ভাবে প্রাপ্ত ৬ পাখি ও আরো ১২ পাখি জমি লীজ নিয়ে গড়ে তুলেছেন ভাই ভাই নার্সারী। তার নার্সারীতে ফলজ, বনজ, ঔষুধী গাছের সমারহ। ফলজ গাছের মধ্যে বড়ই, আম, জাম, কাঠাল, লিচুসহ ৭৫ প্রজাতির চারা, বনজ গাছের চারা ২৫ প্রজাতির, ঔষুধী ১২০ প্রজাতির গাছ রয়েছে।

গত ২বছরের চারায় এবার তার ৫০ লক্ষ টাকার চারা বিক্রি হবে। তার খরচ হয়েছে ২০ লক্ষ টাকার মত। প্রতিদিন তার নার্সারীতে ১৪জন শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। স্ত্রীর অগাধ পরিশ্রম ও সহযোগিতার কারণে আজ নার্সারী করে আলম প্রধান স্বাবলম্বী। এক ছেলে ৫ম শ্রেণীতে ও ১ মেয়ে ৯ম শ্রেণীতে পড়ালেখা করে। তিনি এখন সুখি। নিজে স্বাবলম্বী হয়েই আলম প্রধান বসে থাকেনি। তিনি এলাকার ১১জন বেকার যুবককে হাতে কলমে শিক্ষা দিয়ে নার্সারী করে দিয়েছেন। তারাও এখন অনেক স্বাবলম্বী।

আলম প্রধান বলেন, আমি গাছকে ভালো বাসি। তাই এলাকার যুবকদেরকে বেকার বসে না থেকে নার্সারী করার পরামর্শসহ সহযোগিতা করে বেকার সমস্যার সমাধান করতে চাই। তিনি ইতিমধ্যেই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ট নার্সারীর পুরস্কার লাভ করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই