বাসা থেকে আফসানার ল্যাপটপ-মোবাইল উধাও!

মিরপুরের শেওড়াপাড়ার সাইক পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী এবং ছাত্র ইউনিয়নকর্মী আফসানা ফেরদৌসের ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আফসানা ‘হত্যা’র অনেক ক্লু ওই দুটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে মিলতে পারে বলে ধারণা করছেন স্বজনরা। আর এ কারণেই অভিযুক্তরা কৌশলে সেগুলো সরিয়ে ফেলেছে। প্রধান অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান রবিনকে আসামি করে আজকালের মধ্যেই হত্যা মামলা করার কথাও জানিয়েছে তার পরিবার।

আফসানার বড় ভাই ফজলে রাব্বী বলেন, সেনানিবাস এলাকার মানিকদীর ভাড়া বাসা থেকে আফসানার ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি তাদের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। হত্যার ক্লু আড়াল করতে অভিযুক্ত রবিন বা তার সহযোগীরা কৌশলে সেগুলো সরিয়ে থাকতে পারেন। রবিনের পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমঝোতার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ফজলে রাব্বী। তবে আজকালের মধ্যে তারা হত্যা মামলা করবেন।

এদিকে, আফসানার মৃত্যুর ঘটনার বিচার চেয়ে গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন। এর আগে এক সমাবেশে আফসানার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের গ্রেফতারে সাত দিনের আলটিমেটাম দেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

গত ১৩ আগস্ট আফসানার লাশ মিরপুরের আল-হেলাল হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায় দুই যুবক। অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে কাফরুল থানা পুলিশ সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। পরদিন সকালে স্বজনরা মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।



মন্তব্য চালু নেই