বাস্তবের আরেক দুর্ধর্ষ ‘মারদানি’র খোঁজ পেলো বলিউড !

প্রায় দুই দশক বলিউডে অতিবাহিত করছেন তুখোর অভিনেত্রী ও বাঙালি নারী রানী মূখার্জি; কিন্তু তার অভিনয়ের ইতিহাসে যে ক’টা ছবিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধরা হয় তারমধ্যে সর্বাগ্রে চলে আসে সাম্প্রতিক সময়ের করা ছবি ‘মারদানি’।

কেউ কেউ ‘মারদানি’ ছবিটিকে রানী মূখার্জির ক্যারিয়ার জীবনের শ্রেষ্ঠ ছবি বলেও উল্লেখ করেন। মারদানি কি শুধুই একটা ছবি? এটা কি শুধু চিত্রনাট্যকারের কল্পিত কোনো গল্প?

না, এই মারদানির সিভানি মোটেও কোনো গল্পের চরিত্র নয়। তিনি বাস্তবেরই একজন ছিলেন। যার বাস্তব জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বলিউড কাঁপানো ছবি ‘মারদানি’ তিনি আর পাঁচ জনের মতোন মামুলি কেউ নন, কিংবা নন চিত্রনাট্যকারের অলীক কোনো গল্পের চরিত্রও ছিলেন না। তেমন আরেক মাদানির খোঁজ পেয়েছে বলিউড, যার নাম সংযুক্তা পারশার, আসামের প্রথম নারী আইপিএস।

সংযুক্তা হতে পারতেন ভারতের আর দশজন নারীর মতো, বিয়ে সংসার করে কোনো ঘরোয়া নারীর মতোন সংসার করতে পারতেন; কিংবা হতে পারতেন সকাল ৯ থেকে বিকাল ৬ টার কোনো কর্মজীবী নারী; কিন্তু তার মা এরকমটা চাননি। সংযুক্তার যখন ২ বছর বয়স, তখনই তার মা তাকে নিয়ে ভিন্ন স্বপ্ন দেখেন। ঠেলে দেন প্রস্তর কঠিন পথের দিকে। যার ফলে আজ সমস্ত আসাম দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই সাহসী নারী পুলিশ অফিসার সংযুক্তা। ভারি অস্ত্রের ভার বহন করতে তার একটু মন্দ লাগে না। একে-৪৭ তার কাছে এখন নস্যি।

জানা গেছে,আসামে গত মাসেও সংযুক্তার নেতৃত্বে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছে।

সংযুক্তা স্বেচ্ছায় এই পেশা বেছে নিয়েছেন। পড়াশুনাতেও ছিলেন দুর্দান্ত মেধাবী। সমস্ত ভারতে তিনি ৮৫তম র‌্যাঙ্ক প্রাপ্ত ইউপিএস অফিসার, এবং সাথে আছে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রীসহ।

এখন অনেকেই বলছেন, আসামের এই নারী আইপিএসকে হয়তো শীঘ্রই দেখা যেতে পারে বলিউডের পর্দায়।



মন্তব্য চালু নেই