বিএনপিতে ভাঙনের শঙ্কা : দলের একাধিক নেতা নজরদারিতে

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারের চাপে এবং লোভে পড়ে বিএনপির যেসব নেতা দলের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারেন, এমন একাধিক নেতার তালিকা তৈরি করছে বিএনপি হাইকমান্ড। জানা গেছে, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ দলের একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য এই তালিকা প্রণয়নে সবরকম তদারকি করছেন। আর এই সিনিয়র নেতাকে সহযোগিতা করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান এবং একজন যুগ্ম মহাসচিব।

সূত্রের দাবি, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে খুবই স্পর্শকাতর এই ইস্যুটি নিয়ে কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতারা কাজ করছেন। পাশাপাশি অতীত দিনের তিক্ত অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতেও কাজ করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। এ ছাড়া ‘টাইম টু টাইম’ এই চারজন নেতা দলের সর্বশেষ সাংগঠনিক অবস্থা এবং সন্দেহজনক নেতাদের ব্যাপারে ‘বিশেষ নোট’ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অবহিত করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কেন্দ্রীয় একজন সাংগঠনিক সম্পাদক জানান, ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেন সরকারের আমলের মতো আবারও দল ভাঙার ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা করছেন তারা। এ নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে যে কানাঘুষা চলছে- এ বিষয়টিও স্বীকার করেন তিনি। তার দাবি, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে দলের কিছু দুর্বলচিত্তের নেতাকে বিভিন্নভাবে চাপে ফেলে সরকার দল ভাঙার ষড়যন্ত্র করতে পারে। আর এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগে থেকেই বিএনপি হাইকমান্ড সতর্কতা অবলম্বন করছেন।’

দলের এই কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আরো জানান, ওয়ান-ইলেভেন সরকারের আমলে সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া নেতাদের আবারও বিএনপির মূলধারায় ফেরত আনতে কাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমাদের দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া প্রায় এক দশক পর গত বৃহস্পতিবার দুই ‘সংস্কারপন্থি’ নেতাকে ডেকে কথা বলেছেন। তাদের বিএনপির জন্য কাজ করতেও বলেছেন দলীয় প্রধান।’

অন্যদিকে দলীয় একটি সূত্র জানায়, আগামী এপ্রিল মাস থেকে দেশের বিভাগীয় শহরসহ সাংগঠনিক বেশ কিছু জেলা সফর করতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এই সফরকালে বিভিন্ন জনসভায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সব রকম পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাবেন তিনি।

পাশাপাশি এসব জনসভায় নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক সরকার’ব্যবস্থার পক্ষে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এর আগে আগামী ১০ মার্চের পর যেকোনো দিন রাজধানী ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে ‘সহায়ক সরকার’-এর রূপরেখা তুলে ধরতে পারেন খালেদা জিয়া।



মন্তব্য চালু নেই