বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে মারামারি

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (ইউপি) মনোনয়নকে কেন্দ্র করে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আজ রবিবার দুপুরের পর এ ঘটনা ঘটে।

চেয়ারপারসনের কার্যালয় সূত্র জানায়, রবিবার দুপুরের দিকে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ইউপি নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে স্থানীয় সভাপতি গ্রুপের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রুপের মতপার্থক্য দেখা দেয়। এ সময় সভাপতি গ্রুপের লোকজন অর্থের বিনিময়ে মনোনয়ন দেয়ার অভিযোগ করে ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স ও তার অনুসারী হিসেবে পরিচিত উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে এবং নেতাকর্মীদের তোপের মুখে এমরান সালেহ প্রিন্স বৈঠক ছেড়ে চলে যান।

পরে দুই পক্ষের হাতাহাতিতে মজিবুর রহমান মজু ও আরো দুজন আহত হন। মজিবুর রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জানা গেছে, তৃণমূল নেতাকর্মীদের সমর্থনে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী বাছাই করা হয়। এসব প্রার্থীর বিষয়ে উপজেলা, জেলা পর্যায়ে কোনো মতপার্থক্য না থাকলেও ঢাকায় অবস্থানকারী মজিবুর রহমান নিজের পছন্দানুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতে চান। এ বিষয়ে মীমাংসা করার জন্য ৪ মে ভালুকা উপজেলা বিএনপির নেতারা ঢাকায় আসেন। কিন্তু এমরান সালেহ প্রিন্স তাদের প্রতিদিন সময় দিয়েও বৈঠকে বসতেন না। এ নিয়েও নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছিল।

এ ছাড়া এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে, মজিবুর রহমান মজু ঢাকায় মনোনয়ন-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। আর এমরান সালেহ প্রিন্স তার ঘনিষ্ঠ। সব মিলিয়ে নেতাকর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন এই দুই নেতা।

তবে বিষয়টিকে এড়িয়ে উপজেলা সভাপতি ফখরুদ্দিন বাচ্চু বলেন, “এলাকায় বিএনপির দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ধরে গুলশান কার্যালয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। মারামারি হয়েছে কি না বলতে পারব না।”



মন্তব্য চালু নেই