বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্তকরণের কাজ চলছে : ফখরুল

দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্তকরণের কাজ চলছে জানিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সঠিক সময়েই’ তার দল চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করবে।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুস্পস্তাবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে নবনির্বাচিতদের নিয়ে সমাধিতে ফুল দিতে যান তিনি।

‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ’ হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গেলেও ওই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এ ব্যাপারে আশাবাদী নন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘বিএনপি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে ঠিকই, তবে এই বিষয়ে আমরা খুব আশাবাদী নই।’

গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সরকার দ্রুতই বিএনপির কাউন্সিলের অনুমতি দেবে বলেও এ সময় প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কাউন্সিলের জন্য তিনটি ভেন্যু চেয়ে ছিলাম, কিন্তু এখন পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া হয়নি। আশা করি গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে দিয়ে আমাদের অনুমতি দেওয়া হবে।’

সম্প্রতি শিশু হত্যা ‘বেড়ে গেছে’ দাবি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘এর মাধ্যমে প্রমাণ হচ্ছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে।’

জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরাতে প্রয়াত জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত কথা বলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না মন্তব্য তিনি বলেন, ‘সরকারের দমননীতি ও নির্যাতনের কারণে আজকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো ছাত্র সংগঠন নেই। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না। সমগ্র দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। তাদের অনেককে গুম-খুন করা হয়েছে, অনেককে গ্রেফতার করে দিনের পর দিন কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে রাখা হচ্ছে।’

ছাত্রদলের নেতারা দেশের ছাত্ররাজনীতিকে সত্যিকার অর্থে ইতিবাচক গণতান্ত্রিক রাজনীতির দিকে নিয়ে যাবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব প্রাক্তন ছাত্রদলের নেতা আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নাজিমউদ্দিন আলম, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, প্রাক্তন ছাত্রদল নেতা আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, সহ-সভাতি তারেক-উজ্জামান তারেক, নাজমুল হাসান, মনিরুজ্জামান রেজিন, মামুন বিল্লাহ, ইখতিয়ার রহমান কবির, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম সম্পাদক মিয়া মো. রাসেল, আব্দুর রহিম হাওলাদার সেতু, মিজানুর রহমান সোহাগ, দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুইয়াসহ কেন্দ্রীয় সংসদ ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর ছাত্রদলের ১৫৩ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। প্রায় ১৬ মাস পর গত ৬ ফেব্রুয়ারি আংশিক কমিটিতে আরো ৫৮৩ জনকে অন্তর্ভুক্ত করে ৭৩৬ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই