বিএনপির ২৩ মেয়র ২৭ উপজেলা চেয়ারম্যান বরখাস্ত

শুধুমাত্র বিরোধী দলের নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়ায় সারাদেশে ২৩ মেয়র, ২৭ উপজেলা চেয়ারম্যান, ১৩ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং দুই শতাধিক ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও কাউন্সিলরকে পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।

মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বেলায় দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। রেলের অর্থ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত একজন মন্ত্রীর খবর কে না জানে। এতবড় ঘটনার পরেও তিনি দফতরবিহীন মন্ত্রিত্ব নিয়ে গত পাঁচ বছর পার করেছেন ভালোভাবেই।

রিজভী আরো বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক নূরুল আলমের দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত দুটি ধারায় মোট ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন।

সাজা হওয়ার পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানিয়েছেন, মায়া আর মন্ত্রিত্বে থাকতে পারবেন না। রায়ের পর সংবিধান বিশেষজ্ঞরাও দাবি করছেন, আইনত তিনি আর সংসদ সদস্য নন।

রিজভী বলেন, গত মাসে সাংবাদিকের উপর হামলার অভিযোগে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি ও তার তিন ছেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন দীপ্ত টেলিভিশনের সাংবাদিক আনিসুর রহমান।

কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আদালত অবমাননার মামলায় সরকারের খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হন।

ইতোমধ্যে সাজার জরিমানাও জমা দিয়েছেন। সাজা ভোগ করার পরও এখনো মন্ত্রিত্বে বহাল আছেন। অবশ্য অবৈধ সরকারের মন্ত্রীদের তো বৈধতার প্রশ্ন অবান্তর।

তিনি বলেন, পাবলিক সার্ভেন্ট (ডিসমিস্যাল অন কনভিকশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৫ আইনে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর যদি কোনো মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ন্যূনতম ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা এক হাজার টাকা জরিমানা হয় তাহলে ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এমনিতেই চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়ে যাওয়ার কথা।

দুই মন্ত্রীর জরিমানা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা করে। এক হাজারের অনেক বেশি। আইন বলছে, তারা বরখাস্ত হয়ে গেছেন। সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে দণ্ডিত মন্ত্রীদের মন্ত্রিসভায় বহাল রেখে মন্ত্রিপরিষদ এখন কয়েদীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।



মন্তব্য চালু নেই