বিএনপির ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। স্বাধীনতার পর দলটি সর্বোচ্চ পাঁচবার রাষ্ট্রপরিচালনা করে। ১৯৭৮ সালের এই দিনে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশ ও জাতির ঐতিহাসিক প্রয়োজনে বিএনপি নামক একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। একদলীয় শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তন, নৈরাজ্যকর অবস্থা থেকে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে শৃঙ্খলার মধ্যে ফিরিয়ে আনা, দেশের রুগ্ন অর্থনীতিতে প্রাণসঞ্চার, জাতি হিসেবে আমাদের আত্মপরিচয়ের সংকট মোচন, একটি স্বাধীন সার্বভৌম গর্বিত জাতি এবং আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ভিত্তি রচনা এবং দেশ ও জাতির ঐতিহাসিক প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠা করা হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

যে দলের অনুসারীরা হবেন বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, ধর্মীয় মূল্যবোধের ধারক ও বাহক। দেশপ্রেমে উজ্জীবিত সৎ ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধারণায় অনুপ্রাণিত। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজেও এসব গুণের অধিকারী ছিলেন। বিএনপির ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সোমবার দেয়া এক বাণীতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মৃতপ্রায় গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে সরকারকে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের পথ প্রশস্ত করার আহবান জানিয়েছেন।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিএনপি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে শুরু হয় উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি। রাজনীতিতে আসার আগেও এই মহান নেতার একটি ঘটনাবহুল জীবন রয়েছে। সৈনিক জীবন থেকে শুরু করে স্বাধীনতার ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধ, রাষ্ট্রপরিচালনা সব ক্ষেত্রেই তার একটি সমুজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে, যা জাতি কোনদিন ভুলতে পারবে না।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকসেনারা যখন পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ সাধারণ মানুষের ওপর পশুর মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হয়, ঠিক তখন সময়ের সাহসী সন্তান মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম থেকে ঘোষণা করেন তৎকালীন ৭ কোটি মানুষের কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। এরপর সেই জিয়াউর রহমান ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেন সেক্টর কমান্ডার হয়ে, জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে। যুদ্ধে বীরত্ব, সাহসিকতা ও নেতৃত্বের জন্য জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম পদকে ভূষিত করে স্বাধীন বাংলাদেশের শেখ মুজিব সরকার। এরপর দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় ও হাজার হাজার মানুষ মারা যায়। শেখ মুজিবের রক্ষীবাহিনী এদেশের নিরীহ ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের হত্যা করতে থাকে। এবার বাংলাদেশের তৎকালীন নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগসহ সকল রাজনৈতিকদল নিষিদ্ধ করে বাকশাল কায়েম করে। দেশে গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা রোধ করে, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় মাত্র ৪টি পত্রিকা রেখে সকল পত্রিকা বন্ধ করে, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করা হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব নির্মমভাবে সেনাসদস্যদের হাতে নিহত হওয়ার পরে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগের নেতা খোন্দকার মুশতাক আহমাদ। শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ঘটে। তখন দেশ ও জাতি এক চরম হতাশায় নিমজ্জিত, দিশেহারা, চরম সংকটে পতিত। ঠিক সেই মুহূর্তে এ দেশের সিপাহী জনতা একই বছরের ৭ নভেম্ব^র জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে। এভাবেই একজন কর্মকর্তা হিসেবে জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব ঘটে। ১৯৭৮ সালের জুনে প্রত্যক্ষ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন শহীদ জিয়াউর রহমান। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ফিরিয়ে দেন গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক মুক্তি, জাতীয় ঐক্য। তিনিই প্রথম দেশে আওয়ামী লীগের গড়া একদলীয় বাকশালের পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে জিয়াউর রহমানের অনুপ্রেরণায় গঠিত হয় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল)। পরে আরো কয়েকটি দলের সমন্বয়ে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে বিভিন্ন দলের মোর্চা ও ফ্রন্ট এক করে একক রাজনৈতিক দল হিসেবে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান গড়ে তোলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। বিএনপির ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের চেয়ারপারসন বাণী দিয়েছেন। দিবসটি পালনে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি পালন করছে।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের পাশাপাশি এনে দেন আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। জিয়াউর রহমানের উন্নয়ন, উৎপাদন ও গণতান্ত্রিক আদর্শ লালন করেই বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঁচ পাঁচবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হয়েছে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ১৯দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শান্তিপূর্ণ বিপ্লবের ডাক দেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সুবেহ সাদিকের সময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কুচক্রী সেনাসদস্য কর্তৃক শহীদ হন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদত বরণের পর দলের বর্তমান চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও এক যুগসন্ধিক্ষণে দলের দায়িত্ব নিয়ে একের পর এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন। স্বৈরাচারী এরশাদের আমলে তিনি আন্দোলন করে আপোসহীন নেত্রী উপাধি পান। তার নেতৃত্বে বিএনপি তিনবার ক্ষমতায় আসীন হয়। বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বিএনপি আজ তাদের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে। বিএনপিকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি ষড়যন্ত্র হয়েছিল গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। বিএনপির দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উদ্দেশ্য ছিল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। এজন্য তারা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে। আটক করে তার দুই ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকে। তারেক রহমানের উপর চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। গ্রেফতার থেকে বাদ যায়নি দলের সিনিয়র নেতারাও। ছোট ছেলে আরাফাত রহমান নির্যাতিত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মালয়েশিয়াতে চলতি বছরে ইন্তেকাল করেছেন।

এ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এমন সময় এলো যখন বাংলাদেশের দুর্দিন চলছে। বহুল জনপ্রিয় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর দেশে গণতন্ত্র আজ অনুপস্থিত। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নানামুখী ষড়যন্ত্র ও হুমকির সম্মুখীন। যখন পুরো দেশ ও জাতি এক চরম হতাশায় নিমজ্জিত, দিশেহারা, চরম সংকটে পতিত। একটি বিপজ্জনক আধিপত্যবাদী শক্তি যে দেশের প্রতিবেশী এবং একটি এককেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থার কবলে যে দেশ নিপতিত, সেই দেশের সার্বভৌম অস্তিত্ব রক্ষা এবং জনগণের ন্যায্য গণতান্ত্রিক অধিকার সংরক্ষণ এক মরণপণ সংগ্রামের ব্যাপার। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সব নেতা ও কর্মীকে কঠিন এই ঐতিহাসিক দায়িত্বের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে, যখন দল ও দেশের সম্ভাবনাময় নেতা তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কার্যত বন্দী করে রাখা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশে থাকলেও তিনি যাতে দেশে আসতে না পারেন এ জন্য তার বিরুদ্ধে একের পর মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ছাড়া দেশে এমন আর কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই জাতির এই চরম দুর্দিনে জাতিকে পথ দেখাতে পারে। তারপরও দেশের আপামর জনসাধারণ মনে করেন, ভারতীয় তাঁবেদার এই শাসকগোষ্ঠীর শৃংখল ভেঙে তারেক রহমান আবার বীরের বেশে দেশে ফিরে এসে তার আপসহীন মায়ের সাথে মুক্তির আন্দোলনে শরিক হবেন।

আজ ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের কার্যালয়গুলোতে সকাল ৬টায় দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন জানান, সকাল ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সমাধিস্থলে পবিত্র ফাতেহা পাঠের আয়োজন করবে ওলামা দল। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন বিকেল ৩টায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভার আয়োজন করবে বিএনপি। এতে দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া উপস্থিত থাকবেন। দিবসটি উপলক্ষে সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং ঢাকাসহ দেশব্যাপী পোস্টার প্রকাশ করছে দলটি।

বিএনপির ঘোষণাপত্র

প্রায় ২৮টি বিষয়কে জাতীয় উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য নির্ধারণ করে বিএনপি তার ঘোষণাপত্র আজ থেকে ৩৬ বছর আগে নির্ধারণ করে যা আমাদের ধারাবাহিক উন্নয়নে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্ববহ। ১. বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে অনুপ্রাণিত ও সংহত ইস্পাত কাঠন ঐক্য, ২. উৎপাদনের রাজনীতি, ৩. জনগণের গণতন্ত্র ও রাজনীতি, ৪. রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, ৫. সামাজিক অন্যায় ও বৈষম্য দূরীকরণ, ৬. সার্বভৌমত্ব, সামাজিক ন্যায় বিচার ও দ্রুত উন্নয়ন, ৭. মৌলিক অধিকার, বিচার বিভাগ ও আইনের শাসন, ৮. বিলুপ্ত মানবিক মূল্যবোধের পুনরুজ্জীবন, ৯. স্থানীয় এলাকা সরকার ও বিকেন্দ্রীভূত রাজনৈতিক ক্ষমতা, ১০. সামাজিক ন্যায় বিচারের অর্থনীতি, ১১. জনসম্পদের সার্বিক উন্নয়ন ও সদ্ব্যবহার, ১২. নারীর সার্বিক মুক্তি ও প্রগতি, ১৩. জাতিগঠন, সমাজসেবা ও যুবশক্তির ব্যবহার, ১৪. পল্লী উন্নয়ন, ১৫. গণমুখী কৃষিনীতি, ১৬. সমবায় ভিত্তিতে জাতীয় উন্নয়ন, ১৭. সৃজনশীল, উৎপাদনমুখী এবং গণতান্ত্রিক শ্রমনীতি, ১৮. জীবনমান উন্নয়নভিত্তিক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম, ১৯. গণমুখী ও জীবননির্ভর শিক্ষা কার্যক্রম, ২০. উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, ২১. প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ব্যবহার, ২২. অনুন্নত এলকা ও জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন, ২৩. সার্বভৌমত্ব সুনিশ্চিতে রক্ষাকবচ হবে সশস্ত্রবাহিনী, ২৪. জাতীয় প্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে মুক্তিযোদ্ধা, ২৫. বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও প্রসার, ২৬. বাংলাদেশি সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়ার বিকাশ, ২৭. ধর্মীয় শিক্ষা, ২৮. জাতীয় পররাষ্ট্রনীতি হবে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সমৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক প্রীতি ও সখ্য।

১৯৭৯ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন

বিএনপি ৩০০ আসনের মধ্যে ২২০টি আসন লাভ করে। সাধারণ নির্বাচনের পর দেশ থেকে সামরিক আইন ও জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শান্তিপূর্ণ বিপ্লবের ডাক দেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সুবেহ সাদিকের সময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কুচক্রী সেনাসদস্য কতৃর্ক শহীদ হন।

১৯৮২, ৩ জানুয়ারি

১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি একজন সাধারণ গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে আসেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ১৯৮২ সালের ৮ জানুয়ারি সংবাদপত্রে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি শোষণহীন, দুর্নীতিমুক্ত, আত্মনির্ভরশীল দেশ গঠনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেছিলেন। বিগত কিছুকাল যাবৎ আমি বিএনপি কার্যক্রম গভীরভাবে লক্ষ্য করেছি। দলের ঐক্য ও সংহতি বিপন্ন হতে পারে, এমন মনে করে আমাকে দলের দায়িত্ব নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। তাই দলের বৃহত্তর স্বার্থে বিএনপিতে যোগ দিয়েছি ও দলের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছি। দেশ ও জাতির স্বার্থে এবং শহীদ জিয়ার গড়া দলে ঐক্য ও সংহতির স্বার্থে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাওয়া আমার লক্ষ্য।’

১৯৮৩, ১ এপ্রিল

এই দিনে বিএনপির বর্ধিত সাধারণ সভা থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদে আসীন করা হয়।

আগস্ট ১৯৮৪

বেগম খালেদা জিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন এবং বিএনপিতে নতুন প্রাণের সৃষ্টি হয়। নেতাকর্মীরা নতুন আশার আলোয় আবারো রাজপথে নেমে আসে। এরপর বেগম খালেদা জিয়ার ওপর নানাবিধ হুমকি আসতে থাকে, চক্রান্ত চলতে থাকে তাকে ব্যর্থ করে দেয়ার। কিন্তু অকুতোভয়, সাহসী, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও গণতন্ত্রের পথে পথ চলতে আপসহীন ভূমিকা নিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।

১৯৮৬ সাধারণ নির্বাচন

বিএনপি ১৯৮৬ সালের সাধারণ নির্বাচন বয়কট করে। এ নির্বাচন আওয়ামী লীগেরও বয়কট করার কথা থাকলেও আওয়ামী লীগ এ প্রহসনের নির্বাচনে অংশ নেয় ও জাতীয় বেঈমান খেতাব প্রাপ্ত হয়।

১৯৯০ স্বৈরাচারের পতন

এরপর আরো ৫ বছর স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে একলা পথ চলেন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় আন্দোলন করে অসহনীয় জুলুম নির্যাতন সহ্য করেন এবং ‘গণআন্দোলন’ সংগঠিত করেন। ১৯৯০ সালে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের ডাকে দেশের মানুষ রাজপথে নেমে আসে। ফলে এরশাদ ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। বেগম খালেদা জিয়ার গণআন্দোলন সফল হয়। ফিরে আসে গণতন্ত্র। বেগম জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বের কারণে দেশবাসীর মাঝে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা তৈরি হয় এবং তিনি ‘দেশনেত্রী’ আখ্যায়িত হন।

১৯৯১ সাধারণ নির্বাচন

বেগম খালেদা জিয়া আপসহীন নেতৃত্বে গণতন্ত্রের বিজয়ের ফলে এ সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে এককভাবে সরকার গঠন করে ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কিন্তু তৎকালীন বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনা সরকারকে একদিনও শান্তিতে থাকতে দেবে না বলে সংসদে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মেয়াদের ৫ বছরে শতাধিক হরতাল ও অসহযোগের মাধ্যমে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে।

১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সাধারণ নির্বাচন

সংবিধান রক্ষার জন্য ১৯৯৬ সালে নির্বাচন হয়। সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সংবিধানে সংযুক্ত করতে এবং সাধারণ নির্বাচন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করতেই ১৯৯৬ সালের নির্বাচন করা হয়। এ নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ ছিল শুধু সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করা।

৩ জুন ১৯৯৬, সাধারণ নির্বাচন

প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি দেশবাসীর সেবা করার সুযোগ পায়। বিরোধী দল হয়েও সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে বিএনপি মানুষের কাছে আবারো নতুন পথের সন্ধান দেয়।

১ অক্টোবর ২০০১, সাধারণ নির্বাচন

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি ৩য় বারের মতো বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে নির্বাচিত হয় এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ৩য় বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

১১ জানুয়ারি, ২০০৮ জরুরি অবস্থা জারি

বিএনপি সরকার ২৮ অক্টোবর মেয়াদ শেষে ক্ষমতা ছেড়ে দিলে প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠার সন্ত্রাসের নৈরাজ্য ও মানুষ হত্যায় লিপ্ত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগ বিচারপতি কে এম হাসানকে মেনে নেয়নি। ফলে দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়। এক পর্যায়ে মরহুম রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বৈঠক করে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হন। সে অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে নমিনেশন পেপার জমা দেয়। কিন্তু দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে ৩ জানুয়ারি হঠাৎ আওয়ামী লীগ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়। এ পরিস্থিতিতে ১১ জানুয়ারি ২০০৮ সালে জরুরি অবস্থা জারি করে তৎকালীন সামরিক বাহিনী সমর্থিত মইন-ফখরুদ্দীনের অবৈধ সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে। বিএনপিকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি ষড়যন্ত্র হয়েছিল এই অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উদ্দেশ্য ছিল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। এজন্য তারা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে। আটক করে তার দুই ছেলেকে। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপর চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। বর্তমান তিনি লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছেন। গ্রেফতার থেকে বাদ যায়নি দলের সিনিয়র নেতারাও। তারা বিএনপিকে দুইভাগে বিভক্ত করে সংস্কার ইস্যুকে কেন্দ্র করে। দল প্রায় দু ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। দীর্ঘ এক বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়ে আবারও দলকে সুসংগঠিত করে তোলেন বেগম খালেদা জিয়া। দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর প্রত্যয়দীপ্ত বলিষ্ঠ প্রতিরোধের মুখে ও গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুদৃঢ় নেতৃত্ব জাতীয়তাবাদী শক্তির কাছে নতজানু হয়ে তারা পরিশেষে সাধারণ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়।

২৯ ডিসেম্বর ২০০৯, সাধারণ নির্বাচন

দীর্ঘ ২ বছর সামরিক বাহিনীর সমর্থিত অবৈধ সরকারের অধীনে কারচুপির সাধারণ নির্বাচনে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিএনপি বিরোধী দলের আসনে বসে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বহুল জনপ্রিয় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের কথা না থাকলেও ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে তারা দেশের ৯০ ভাগ মানুষের মতামতকে উপেক্ষা করে সে ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, দেশের বিশিষ্টজন, বুদ্ধিজীবী, বিদেশি কূটনীতিকরা এ রাজনৈতিক সংকট সমাধানে বারবার সরকারের কাছে দাবি জানালেও আওয়ামী লীগ এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। এমনকি জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, তার বিশেষ দূত এবং মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ উন্নয়ন সহযোগীদের আহবানও আমলে নেয়নি সরকার।

৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচন

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসীন হন। একতরফা ৫ জানুয়ারির নির্বাচন দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ দেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল বয়কট করে। বিনা ভোটে নির্বাচিত হয় ১৫৩ সংসদ সদস্য। বাকি আসনে ভোট পরে মাত্র ৫ ভাগ। ভোটারবিহীন সে নির্বাচন দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো। একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচনে দেশের গণতন্ত্র আজ মৃতপ্রায়। বর্তমান সরকার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে বিরোধী দলের ওপর চালাচ্ছে দলন পীড়ন। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় জেলে ঢুকিয়ে সরকার সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। মিডিয়ার ওপরও চলছে দলন-নির্যাতন। দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোট বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন।

বিএনপির ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বেগম খালেদা জিয়ার বাণী

বিএনপির ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সোমবার দেয়া এক বাণীতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মৃতপ্রায় গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে সরকারকে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের পথ প্রশস্ত করার আহবান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র বিপন্ন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বও হুমকির মুখে। ৫ জানুয়ারির তামাশার নির্বাচনের পর গণতন্ত্র এখন মৃতপ্রায়। দেশবিরোধী নানা চুক্তি ও কর্মকান্ডের মাধ্যমে বর্তমান সরকার জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে চলেছে। দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশজুড়ে গণহত্যা, গুম, গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, নিপীড়ন ও নির্যাতনের মহোৎসব চলছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত করার জন্য নির্লজ্জ দলীয়করণের চূড়ান্ত রূপ দিতে বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ন্যস্ত করার আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী করার জন্যই এই আইন পাস করা হয়েছে। জনপ্রশাসন আজ্ঞাবহ হওয়ার কারণেই স্থবির হয়ে পড়েছে। যাতে জনমতের প্রতিফলন না ঘটে সেজন্য গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে জাতীয় সম্প্রচার নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জনগণের অধিকার আদায়, তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা আবারও পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ। জনগণের কাছ থেকে ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেয়া মৌলিক-মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন এখন জরুরি।

খালেদা জিয়া বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে জনগণের ক্ষমতায়নে ভূমিকা পালন করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিএনপি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যের যে রাজনীতি তিনি সূচনা করেছিলেন তা

বাকশালীয় একদলীয় রাজনীতি-উত্তর সমাজ ও রাষ্ট্রে জনগণের কাছে সমাদৃত হয়েছে বলে এদেশের জনগণ বারবার এ দলকে রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেছে। এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিএনপি সর্বদা জনগণের রাজনৈতিক দল হিসেবে সকল জাতীয়-রাজনৈতিক সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অক্ষুণœ রেখে দেশ ও জনগণের সেবায় বিএনপি আগামী দিনগুলোতেও বলিষ্ঠ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে ইনশাল্লাহ। বেগম খালেদা জিয়া দলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং যারা ইন্তেকাল করেছেন তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।

সূত্র: দিনকাল



মন্তব্য চালু নেই