বিএনপি অফিসে হামলা-আগুন সরকারের চক্রান্ত

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রদলের কেউ ভাঙচুর করেনি, এটি সরকারের চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রিজভী আহমেদ।

সোমবার সন্ধ্যার দিকে কার্যালয়ের সামেন তাণ্ডব চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন। এদিকে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং সামনে থাকা তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এ প্রসঙ্গে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘বিএনপির কাউন্সিলকে বাধাগ্রস্ত করতে সরকার নানাভাবে চক্রান্ত চালাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে সরকারের প্রশ্রয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা বিএনপি অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে।’

রিজভী বলেন, ‘পল্টন থানা থেকে পার্টি অফিস মাত্র একশ কিংবা দেড়শ গজ দূরে। তাছাড়া কার্যালয়ের আশপাশে থাকা সাদা পোশাকে এবং পোশাকধারী পুলিশ থাকেলও তারা পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় ছিল। পুলিশের এ নিরবতা থেকেই বোঝা যায় এটি সরকারের মদদে হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল, দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। কিন্তু এ কার্যলয় রক্ষায় পুলিশ কোনো ভূমিকাই নেয়নি।’

‘কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা এ ধরনের ভাঙচুর করেছে কি না’, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘গত শনিবার রাতে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যেকেই এ কমিটি মেনেও নিয়েছে, নেতাকর্মীরা খুশি। তবে কেউ কাঙ্ক্ষিত পদ না পেলে সে মনোক্ষুণ্ণ হতেই পারে। কিন্তু ছাত্রদলের কেউ চেয়ারপারসনের ছবি এবং জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করতে পারে না।’

উল্লেখ্য, বহুদিন পর গত শনিবার রাতে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে অনেক নতুন মুখ এলেও সংগঠনের অভ্যন্তরে কোন্দল আবার মাথাচাড়া দেয়। সে প্রেক্ষিতেই সোমবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে পল্টন থানার সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে এসে বিএনপি কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রয়েলের নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এসময় অদূরে পুলিশকে নীরব ভূমিকায় থাকতে দেখা গেছে।



মন্তব্য চালু নেই