‘বিএনপি বিষধর সাপ-সুযোগ পেলেই ছোবল দেবে’

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি বিষধর সাপ, এরা যখনই সুযোগ পাবে তখনই ছোবল দেবে।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ ঢাকা মহানগর আয়োজিত ‘বিদেশে আশ্রয়রত বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের ফিরিয়ে দেওয়া এবং চলমান রাজনীতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, সাপ যেমন বিপদে পরলে গর্তে লুকিয়ে থাকে তেমনি বিএনপিও এখন রাজনীতির নামে নানা অপকর্ম করে চাপের মুখে পড়ে গর্তে মুখ লুকিয়ে রেখেছে।সুযোগ পেলেই সাপ যেমন ফণা তুলে বিএনপিও তেমন সু্যােগের অপেক্ষায় আছে।তাই এ বিষধর সাপ সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের সম্পূর্ণ এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ দেন। রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগের কেউ নন, এমনকি সরকারেরও কেউ নন। তাই বিএনপিকে বলবো নির্বাচন কমিশন গঠন করা নিয়ে আপনারা সরকারের কাছে আলোচনার দাবি অমূলক। আপনারা উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রায় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে চান। এখন শুরু করেছেন নির্বাচন কমিশন নিয়ে। দয়া করে এসব অভ্যাস পরিহার করে বাংলাদেশের সংবিধান পড়ুন। সংবিধানেই উল্লেখ করা আছে নির্বাচন কমিশন গঠন করার এখতিয়ার কেবল রাষ্ট্রপতির। পূর্বের ন্যায় এবারও নিশ্চয় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ দিবেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, রাজনীতির নামে বিএনপি পেট্রোল বোমার যে নৃশংস রাজনীতি এ দেশে করেছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। তাদের নৃশংসতা থেকে নিরীহ পশুপাখি এমনকি গাছপালাও রেহাই পায়নি। বিএনপি সবসময়ই দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায় তাদের মুখে এমন বক্তব্য আসলে জাতির সঙ্গে মশকরা ছাড়া আর কিছুই নয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বনেতা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি দেশ পরিচালনায় অসাধারণ নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ইতোমধ্যে তিন ডজনেরও বেশি আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিশ্বের সকল পরাশক্তির সামনে, বিশ্ব নেতাদের সামনে তিনি যেভাবে যুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং মানবকল্যাণের পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন তা কেবল তার পক্ষেই সম্ভব। শেখ হাসিনা এখন শুধু আওয়ামী লীগ কিংবা বাংলাদেশের নেতা নন,তিনি এখন সমগ্র বিশ্বের নেতা।

বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিসদের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মীর মো. আবু হানিফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায়র আরও বক্তব্য রাখেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এম এ করিম ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই