বিএসইসি ভবনে বার বার আগুন কেন?

কারওয়ান বাজারের বিএসইসি ভবনে বার বার আগুন কেন? এই প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মনে। আজ নিয়ে এ পর্যন্ত এই ভবনটিতে তিনবার ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটলো। যে কারণে প্রশ্নটি মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে ২০০৭ ও ২০১০ সালে দুইবার কারওয়ান বাজারের এই একই ভবনে আগুন লাগে। শুক্রবার তৃতীয় বারের মত অগ্নিকান্ড ঘটলো। বার বার একই ভবনে অগ্নিকান্ড পরিকল্পতি কিনা তা নিয়েও এখন প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি) ভবনটি মূলত সরকারি।

ফায়ার ব্রিগেড জানায়, শুক্রবার বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে বিএসইসি ভবনের ১১ তলায় আমার দেশ পত্রিকা অফিস থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এদিন ওই কার্যালয় থেকে তাদের কিছু মালামাল সরানোর কথা ছিল। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ভবনটিতে এনটিভি, আরটিভিসহ আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় রয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের সময় ওই ভবনে অবস্থিত বেসরকারি টিভি চ্যানেল এনটিভির কার্যালয়ে কাজ করছিলেন সিনিয়র ভিডিও এডিটর রাজীব মাহমুদ। তার ভাষ্য, বেলা পৌনে ১২টার দিকে নিরাপত্তাকর্মীরা আগুন লেগেছে বলে খবর দেয়। পরে সবাই এনটিভির কার্যালয় থেকে নেমে পড়ি।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছিলেন। স্মরণকালের ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধার কাজে দেশে প্রথমবারের মতো বিমানবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার ব্যবহৃত হয়।

ওইদিন সকাল সোয়া ১০টায় ১১ তলা এ ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। ফায়ার ব্রিগেড, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ, আনসার ও রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা টানা ৫ ঘণ্টা চেষ্টার পর বেলা সাড়ে ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত দুজন বিএসইসি কর্মচারী। তাদের নাম মোকসেদা বেগম ও আফতাব উদ্দিন মোল্লা। অপরজন এনটিভির ক্লিনার জোছনা বেগম।

২০১০ সালের ২০ জুলাই ওই ভবনের নীচতলার গ্যারেজে এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওইদিন বেলা পৌনে তিনটার দিকে ভবনের গ্যারেজে একটি জেনারেটরের তারে আগুন লাগে। দমকল বিভাগের কর্মীরা পৌঁছানোর আগেই সেখানে কর্তব্যরত লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে।



মন্তব্য চালু নেই