বিক্ষোভকারীদের ভাড়াটে বললেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের প্রতিবাদে টানা দুই দিন ধরে চলা বিক্ষোভকে অগ্রহণযোগ্য বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার) এক টুইট বার্তায় তিনি বিক্ষোভকারীদেরকে ভাড়াটে বলেও আখ্যা দেন। গণমাধ্যম এগুলোকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রিপাবলিকান প্রার্থী।

৮ নভেম্বরের ভোটে অপ্রত্যাশিতভাবে ট্রাম্পের জয়ের পরই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের অন্তত ২৫টি শহর। নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে এমন বিক্ষোভ কখনও দেখেনি বর্তমান প্রজন্ম। লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে এসে তাদের ক্ষোভ জানাচ্ছে, জড়াচ্ছে সংঘর্ষে।

বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর হামলা, ককটেল নিক্ষেপ, গাড়ি ভাঙচুর, যান চলাচলে ব্যাঘাত, সম্পদ ধ্বংস, ট্রাম্পের কুশপুতুল দাহ- কোনো পদ্ধতিই বাদ রাখছেন না।

এই পরিস্থিতিতে ভোটের ৪৮ ঘণ্টা পর ট্রাম্প তার টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমরা একটি খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং সফল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ করেছি। এখন পেশাদার ভাড়াটে লোকেরা বিক্ষোভে নেমেছে। গণমাধ্যম এগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তুলে ধরছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

নির্বাচনী প্রচার চলাচালে প্রায় সময়ই ট্রাম্প গণমাধ্যমকে আক্রমণ করে কথা বলেছেন। তবে ভোটে জয়ের পর এই প্রথম ট্রাম্প গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কথা বললেন।

বহু মার্কিনীর কাছে নির্বাচনে ট্রাম্পের এই জয় গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের নানা প্রান্তেই ‘ট্রাম্পকে মানি না’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করছে তারা।

এই বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাম্পের সাবেক নির্বাচনী ম্যানেজার ক্যালায়েন কনওয়ে সিএনএনকে বলেন, তিনি এই আচরণ বুঝতে পারছেন না। তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীদেরকে বিজয়ের পর ট্রাম্পের ভাষণটি শোনা উচিত।

কনওয়ে বলেন, ‘ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আমেরিকায় যারা তাকে সমর্থন করেছেন, এমনকি যারা করেননি তাদেরও প্রেসিডেন্ট হবেন।’ এই বক্তব্য দেয়ার পর এমন বিক্ষোভের কারণ নেই বলে দাবি করেন তিনি।

কনওয়ে বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদেরকে বলবো, আজকের ঘটনাটি দেখুন। ভোটের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ৩৬ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পরবর্তী ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ওবামা এবং ফার্স্ট লেডি মিশেলের সঙ্গে দেখা করেছেন। বিক্ষোভকারীদের এটা দেখা উচিত। এটা ছিল দারুণ একটি বৈঠক।’



মন্তব্য চালু নেই