বিচারপতিদের নিয়ম-নীতি মানতে বললেন সিনহা

সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করা অবস্থায় অবসরপ্রাপ্ত ও দায়িত্ব পালনরত বিচারপতিদের নিয়ম-নীতি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত হাইকোর্ট বিভাগের সদ্য বিদায়ী বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে এ পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি।

সদ্য বিদায়ী হাইকোর্টের বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী মীর কাসেম আলীর আইনজীবী নিযুক্ত হয়ে আজ সকালে মীর কাসেমের মামলার পেপার বুক পড়ে শোনান।

অবসর গ্রহণের পর অনেক বিচারপতিই আছেন যারা হাইকোর্টে বিভাগে প্র্যাকটিস করছেন। তবে অবসর গ্রহণের কতদিন পর একজন বিচারপতি আদালতে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করার সুযোগ পাবেন এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো আইন নেই।

বুধবার মীর কাশেমের আপিল মামলা শুনানিতে এলে তার আইনজীবী হিসেবে নজরুল ইসলাম আপিল বিভাগে পেপারবুক পড়ে শোনান। অবশ্য তার আগে কিছুক্ষণ মীর কাশেমের অন্য এক আইনজীবী এসএম শাহজাহান কিছু সময় পেপারবুক পড়েন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের এক নম্বর বেঞ্চে এ মামলার শুনানি হচ্ছে। এ বেঞ্চের অপরবিচারপতিরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।

চলতি মাসের ২ তারিখে আদালত মীর কাসেম আলীর আপিল শুনানির জন্য ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। সেদিন তার আইনজীবীদের শুনানির জন্য এক সপ্তাহ সময় দেন আদালত।

২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর মীর কাসেম আলীর খালাস চেয়ে আপিল আবেদন দায়ের করেন তার আইনজীবীরা। আপিল আবেদনে ১৮১টি যুক্তি দেখিয়ে মীর কাসেম আলীর খালাস চাওয়া হয়।

২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। তার বিরুদ্ধে মোট ১৪টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মধ্যে দু’টিতে মৃত্যুদণ্ডসহ মোট ১০টি অভিযোগে তাকে সাজা দেয়া হয়। অপর চারটি অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়।



মন্তব্য চালু নেই