‘বিজিবির পদন্নতি হওয়া উচিত, তবে বিএসএফের মত না’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) শীর্ষ কর্মকর্তাদের পদবি উন্নীতকরা উচিত। তবে বিএসএফের সঙ্গে তুলনা করেনা। বুধবার রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে বাহিনীর কমান্ডার্সকনফারেন্সে মন্ত্রী এই মত দেন।

বিজিবির যশোর অঞ্চলের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান এই দাবি তোলেন।

দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর মতামত জানান। তিনি বলেন, ‘বিএসএফের সঙ্গে তুলনা করবেন না। এটা বিরাট বাহিনী, বিরাট। সেটা বাদ দেন। বিমান ও নৌ বাহিনীর পদবি উন্নীত হয়েছে। আপনাদেরটাও হবে, হওয়া উচিত।’

মন্ত্রী বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এখন একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। অতীতের কলঙ্ক মুছে বিজিবি আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শুধু বর্ডার না, দেশের অভ্যন্তরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায়ও বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে। তাই আমরা গর্বিত ও দেশবাসী নিশ্চিন্ত।

তিনি বলেন, সীমান্তে দায়িত্ব পালন করে আপনারা দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা করছেন। নির্বাচনে বিরূপ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও আপনারা দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বর্ডার সুরক্ষা হচ্ছে। অন্যদেশের সীমান্ত বাহিনী এখন কিছু করার আগে বিজিবির সঙ্গে আলোচনা করছে।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ওই পৈশাচিক ঘটনার পর আমরা আপনাদের যে মনোবল দেখেছি, তা প্রশংসনীয়। বিজিবির সকল চাহিদাই সরকারের পক্ষ থেকে পূরণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চারটি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো স্থাপন করা হয়েছে। ১৫টি ব্যাটালিয়নের প্রস্তাবনার মধ্যে ১৩টি স্থাপন করা হয়েছে। মহিলা সদস্যরাও বিজিবিতে যোগ দিচ্ছেন।

বিজিবির মহিলা সদস্যদের নিয়ে এগিয়ে গেলে আপনারা যুগান্তকারী ইতিহাসের জন্ম দেবেন। কাস্টমসের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোন চোরাকারবারী বা মাদক বেরিয়ে গেলেও বিজিবির সদস্যরা তা ঠিক আটক করছে।

এসময় চারটি হেলিকপ্টার বিজিবিকে দেওয়ার ঘোষণা দেন মন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, আমাদের সীমান্তে যতগুলো বিওপি স্থাপন করা হয়েছে -তা পর্যাপ্ত নয়। ভারতে আরও বেশি বিওপি রয়েছে। এত স্বল্পতার মধ্যে আপনারা যেভাবে দায়িত্ব পালন করছেন -তা দেশপ্রেমের লক্ষণ।

তিনি আরও বলেন, বর্ডারে অনেক সময় আপনাদের কিছু সদস্য মাঝে মাঝে মিস-গাইডেড হন। এ তথ্য মাঝে মাঝে আমাদের কানে আসে। কমান্ডাররা যদি সেদিকে নজর দেন, তাহলে তা বন্ধ হয়ে যাবে। বর্ডারে অনেক চোরাকারবারী বা মাদক কাস্টমস ছেড়ে দিলেও বিজিবি আটক করে ফেলে। আমরা এ ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর সঙ্গে কথা বলব।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদের সভাপতিত্বে সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এ কনফারেন্সে সদর দফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা), ৪টি রিজিয়নের (সাউথ-ইস্ট রিজিয়ন চট্টগ্রাম, নর্থ-ওয়েস্ট রিজিয়ন রংপুর, নর্থ-ইস্ট রিজিয়ন সরাইল ও সাউথ-ওয়েস্ট রিজিয়ন যশোর) কমান্ডার, বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুল (বিজিটিসি অ্যান্ড এস) কমান্ড্যান্টসহ বিজিবি’র ৩০টি ইউনিটের অধিনায়করা উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই