‘বিদেশিদেরাই ছিলো তিন জঙ্গির টার্গেট’

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মইনুল হক বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জে জঙ্গিদের অবস্থান নেয়ার মূল উদ্দেশ্যে ছিলো রাজধানী ঢাকার আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত বিদেশিদের ওপর হামলা চালানো। এ টার্গেট নিয়েই তারা ঘনবসতিপূর্ণ নারায়ণগঞ্জ এলাকায় বাসা নেয়।’

শনিবারের জঙ্গিবিরোধী অভিযান নিয়ে রবিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের আইডি কার্ড বা পরিচয়পত্র দিয়ে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার বাসাটি জঙ্গিরা ভাড়া নিয়েছিল। তবে এসব কার্ড জাল ও ভুয়া হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘বাড়ির মালিক নুরুদ্দিন দেওয়ান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, গত ২ জুলাই একমি ল্যাবরেটরিজের কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে বাসাটি ভাড়া নেয় জঙ্গিরা। বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য সম্ভবত তারা ভুয়া ও জাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করেছিল। তারপরও তদন্ত করা হচ্ছে।’

‘অপারেশন হিট স্ট্রং-২৭’ নাম দিয়ে শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার কবরস্থান এলাকার একটি বাড়ির তিনতলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট। এই অভিযানে নিহত হয়েছেন তিনজন। তাঁদের একজন কানাডাপ্রবাসী তামিম চৌধুরী (৩০)। অপর দুজন হলেন- যশোরের ফজলে রাব্বী ও অপর তরুণ ঢাকার ধানমন্ডির বাসিন্দা তাওসিফ হোসেন।

জঙ্গিবিরোধী অভিযানের পর বাড়ির মালিক নুরুদ্দিন দেওয়ানসহ ১০ জনকে আটক করে পুলিশ। এর মধ্যে বাড়ির মালিক বাদে ৯ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের এসপি বলেন, ‘বাড়ির মালিক নুরুদ্দিন দেওয়ানকে জঙ্গি দমন আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এই মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। শনিবার অভিযানে নিহত বাকি দুই জঙ্গির পরিচয় আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও আমাদের হাতে আসেনি। এজন্য মামলাটি এখনও করা হয়নি।’

ভাড়াটিয়াদের তথ্য না দেওয়ায় বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হবে বলে তিনি জানান।



মন্তব্য চালু নেই