বিদেশি হত্যার ঘটনা দৃষ্টি ঘোরানোর ‘সূত্রপাত’

রাজধানীর গুলশানে ইতালির নাগরিক তাভেল্লাকে হত্যার ঘটনায় সরকার জড়িত থাকার সন্দেহ করেছেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

তিনি বলেছেন, ‘মানুষের দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যই সরকার বিভিন্ন সময় নানা ধরনের ঘটনা ঘটায়। সম্ভবত গতকালের ঘটনা তারই সূত্রপাত।’

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

কক্সবাজারের রামু-উখিয়ার বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলা, অগ্নিসংযোগ এবং ভয়াবহ লুটপাটের ঘটনার তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফ্রন্ট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘সরকার বারবার ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে। কিন্তু তাদের ভেতর কোনো ধর্ম নিরপেক্ষতা নেই। কারণ, তারা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর আক্রমন করে, তাদের জায়গা জমি দখল করে, ঘরবাড়ি লুটপাট করে। ধর্মবিশ্বাসী কোনো মানুষ অন্য ধর্মের মানুষের ওপর হামলা করতে পারে না। ১৯৭১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সবচেয়ে বেশি হামালা করেছে আওয়ামী লীগ।’

তিনি বলেন, ‘মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর জন্য সরকার একেক সময় একেকটি ঘটনা ঘটায়। সাম্প্রদায়িক জুজুর ভয় দেখিয়ে তারা অনেক কিছু লুফে নিতে চায়। এই জুজুর শিকার এক সময় তারা নিজেরাই হবে। রাজধানী ঢাকার গুলশানে সোমবার ইতালীয় নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে তা ক্ষয়িষ্ণু সমাজ ব্যবস্থার শিকার।’

মঈন খান বলেন, ‘ সরকার মৌলবাদের কথা বলে যে খাদ তৈরি করেছে এই ঘটনা তারই ফল। এতে শুধু সমাজ ব্যবস্থা নয়, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু দেশের মানুষ এখন আর বোকা নয় তারা সরকারের এ ধরনের চাল বুঝতে পারে। তাদের ফাঁদে আর সাধারন মানুষ আর পা দেবে না।’

আলোচনা সভায় বৌদ্ধ ফ্রন্টের আহ্বায়ক পুলক কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যান ফ্রন্টের আহ্বায়ক গৌতম চক্রবর্তী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, বিএনপির সহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই