বিপদ সীমার উপরে তিস্তার পানি

টানা বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিপদ সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার দুপুর থেকে জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার নদী তীরবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে।

নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে তিস্তা ব্যারাজের নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপদ সীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে মোস্তাফিজ বলেন, টানা বৃষ্টিপাত আর উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই তিস্তার পানি বাড়ছিল।

“যেভাবে উজান থেকে পানি নেমে আসছে তাতে নদীর পানি আরও বাড়বে।”

ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পাওয়া পানি নিয়ন্ত্রণ রাখতে ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে এবং নদী সংলগ্ন এলাকাগুলোর সার্বিক খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই প্রকৌশলী।

এদিকে নদীর পানি বাড়ায় ডিমলা উপজেলার বাইশপুকুর, কিসামত ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই ঝাড় শিঙ্গেরশ্বর, বাঘেরচর, টাবুর চর, ভেণ্ডাবাড়ি, ছাতুনামা, হলদিবাড়ি, একতার চর, ভাষাণীর চর, কিসামতের চর, ছাতুনামা গ্রামের বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হয়েছে।

এছাড়া জলঢাকা উপজেলার গোলমুণ্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী চরগ্রামের বেশকিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এসব এলাকার নিম্নাঞ্চল ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হলেও শনিবার বিকাল পর্যন্ত কারও বাড়িঘরে পানি ওঠেনি বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।

ডিমলার পূর্ব-ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নদীর আশপাশের চরগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও এসব এলাকার মানুষের বাড়িঘরে পানি ওঠেনি।

গয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইবনে ফয়সাল মুন জানান, সকালে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ইউনিয়নের উত্তর গয়াবাড়ি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

গ্রামের নিচু রাস্তাঘাটে হাঁটু সমান পানি উঠলেও গ্রামটির ১৭৩টি পরিবারের কোনো বাড়িঘরে বিকাল পর্যন্ত পানি উঠার খবর পাওয়া যায়নি।

তবে রাস্তাঘাটের পানিতে চলাচল সীমিত হয়ে পড়ায় পরিবারগুলো কাজকর্মে যেতে না পেরে এক রকম পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

জলঢাকার প্লাবিত গ্রামগুলোতেও একই অবস্থা বলে উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুল জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই