বিভিন্ন প্রকার চোখের জখমের প্রাথমিক চিকিৎসা
আঘাত সব সময় হঠাৎ করেই লাগে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা অনেক সময় বেশ কাজে আসে। চোখের জখম খুব জটিল হতে পারে যেহেতু চোখ খুবই সংবেদনশীল ও সূক্ষ্ম। যদি সময় মত ও সঠিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া না হয় তাহলে সাধারণ চোখের জখমের কারণেও দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে। বিভিন্ন ধরণের চোখের জখমের ক্ষেত্রে কী ধরণের প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করা যায় সেই বিষয়ে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জেনে নিই চলুন।
চোখের জখমের লক্ষণগুলো হচ্ছে :
– চোখে ব্যথা
– দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া
– চোখ দিয়ে পানি পড়া
– চোখ খোলতে সমস্যা হওয়া
চোখের আঘাতের কারণ ও প্রাথমিক চিকিৎসাসমূহ :
১। চোখে কোন বস্তুকণা প্রবেশ করলে
ধুলাবালি, ধাতব বা কাঁচের টুকরা, বস্তুকণা ইত্যাদির কোনটি যদি দুর্ঘটনাবশত চোখে প্রবেশ করে তাহলে যা করবেন –
– চোখ রগড়াবেন না
– যদি বস্তুকণাটি চোখের সাদা অংশে থাকে তাহলে চোখের উপরের পাতা টেনে নীচের দিকে নিয়ে আসুন এবং বার বার চোখ পিট পিট করুন
– ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন
– চিমটা, নখ বা আঙ্গুল দিয়ে চোখের ভেতরের কণা বের করার চেষ্টা করবেন না
– যদি এই পদ্ধতিগুলো কাজ না করে তাহলে হালকা ভাবে চোখ ব্যান্ডেজ করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন
– আর যদি বস্তু কণা কর্নিয়ার মধ্যে পড়ে তাহলে তা সরানোর জন্য চেষ্টা না করে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান
২। কোন রাসায়নিক প্রবেশ করলে
কর্মক্ষেত্রে বা বাসাতেও রাসায়নিক উপাদান চোখে লাগতে পারে, সেক্ষেত্রে যা করবেন
– শান্ত হয়ে বসে চোখ খোলা রাখুন। কারণ চোখ বন্ধ করলে চোখের ক্ষতি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়
– দ্রুত ও অনবরত পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। প্রায় ১৫-৩০ মিনিট পর্যন্ত করতে থাকুন
– এগুলো করতে করতেই ডাক্তারি সাহায্য নিন
– চোখ রগড়াবেন না বা ব্যান্ডেজ করবেন না
৩। ঘুষি বা তাপের কারণে
সাধারণত শিশুদের ক্ষেত্রে এটি হতে দেখা যায় খেলতে যেয়ে বল বা অন্য কিছুর আঘাত লাগতে পারে চোখে। বড়দের ক্ষেত্রেও দুর্ঘটনাবশত চোখে কোন কিছুর আঘাত লাগতে পারে। এমন ক্ষেত্রে
– চোখে হালকা ভাবে ঠান্ডা চাপ দিন। সরাসরি বরফের টুকরা লাগাবেন না। একটি পরিষ্কার সুতি কাপড়ের মধ্যে পেঁচিয়ে তারপর চোখে লাগান
– পরদিন চোখের উপর উষ্ণ চাপ দিন
– যদি চোখ খুলতে সমস্যা হয়, চোখে ব্যথা হয় এবং দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
মন্তব্য চালু নেই