বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদারে যুক্তরাজ্যের শর্ত পূরণ করবে সরকার

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদারে যুক্তরাজ্যের সব শর্ত পূরণ করবে সরকার। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। শনিবার ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান।

তিনি বলেন, বর্তমানে যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ৩০টি দেশের সুপার মার্কেটে দেশি শাকসবজি ও ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, যার পুরোটাই পাঠানো হয় কার্গো বিমানে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ রফতানি করা হয় যুক্তরাজ্যে। কিন্তু যুক্তরাজ্য হঠাৎ করে নিরাপত্তার অজুহাতে সরাসরি কার্গো পরিবহন স্থগিত করায় বিপাকে পড়েছে রফতানিকারকরা। এছাড়া যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউরোপের সবজি বাজার হারানোর আশঙ্কার দেখা দিয়েছে।

একই সঙ্গে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে বিমানের যাত্রীবাহী লন্ডন ফ্লাইট নিয়েও। যে কারণে কার্গো বন্ধ করা হয়েছে সেই কারণে বিমানের লন্ডন ফ্লাইটও বন্ধ হতে পারে।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ঢাকা থেকে বিমানের সরাসরি লন্ডনের কার্গো ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাজ্য। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার কথা রয়েছে। এর আগে অস্ট্রেলিয়াও একইভাবে ঢাকা থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। অস্ট্রেলিয়ার মতো যুক্তরাজ্যও একই সুরে অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও জনবলের অভাবের জন্য সিভিল অ্যাভিয়েশনের গাফিলতি ও অবহেলাকে দায়ী করেছে। লন্ডনের কার্গো ফ্লাইট বন্ধ করায় বিমানকে বড় ধরনের মাসুল গুনতে হচ্ছে। সপ্তাহে ঢাকা থেকে চারটি ফ্লাইটে যে পরিমাণ কার্গো বহন করা হতো তাতে মাসে কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হতো। এখন এ আয় থেকে বঞ্চিত হবে বিমান।



মন্তব্য চালু নেই