বিমান ছিনতাই : সাতজন এখনো জিম্মি

মিশরের বিমান সংস্থা ইজিপ্ট এয়ারলাইন্সের ছিনতাই হওয়া বিমানের সাত আরোহী এখনো বিমানের ভেতরে ছিনতাইকারীদের জিম্মায় রয়েছে। আরোহীদের মুক্ত করতে ছিনতাইকারীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে চাচ্ছে সাইপ্রাস কর্তৃপক্ষ।

এর আগে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হয়, সব আরোহীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিমানের পাইলট, কো-পাইলট, একজন বিমানবালা ও একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং তিনজন যাত্রীসহ মোট সাতজনকে জিম্মি করে রেখেছে ছিনতাইকারীরা। মিশরের বিমানমন্ত্রী শেরিফ ফাতিহর বরাত দিয়ে বিবিসি ও গার্ডিয়ান অনলাইনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গার্ডিয়ান অনলাইনের আপডেট খবরে শেরিফ ফাতিহকে উদ্ধৃত করে আরো জানানো হয়েছে, ৩২০ এয়ারবাসের এমএসআর১৮১ নম্বর ফ্লাইটে মোট আরোহী ছিল ৫৬ জন। কিন্তু এর আগে এ সংখ্যা ৮১ বলে বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জানানো হয়।

এদিকে ছিনতাইয়ের শিকার বিমানটি সাইপ্রাসে অবতরণ করার পর সাইপ্রাস কর্তৃপক্ষ ছিনতাইকারী ও আরোহীদের মধ্যে সমঝোতা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়েছে যাচ্ছে। এরই মধ্যে অধিকাংশ যাত্রী মুক্ত হয়ে নিরাপদে আছে। সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস আনাস্তাসিয়াদেস দাবি করেছেন, ‘ছিনতাইয়ের ঘটনা সন্ত্রাসী কাজ নয়। এটি ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।’

মঙ্গলবার সকালে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া থেকে উড্ডয়নের কিছু সময় পরে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় অভ্যন্তরীণ রুটের বিমানটি কায়রোর উদ্দেশে আলেকজান্দ্রিয়া থেকে উড্ডয়ন করে। এর আধা ঘণ্টা পরে বিমানের পাইলট কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই সময় জানানো হয়, বিমানটি ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছে।

বিমানের পাইলটের বরাত দিয়ে মিশরের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এক আরোহী নিজের কাছে বোমা রয়েছে বলে দাবি করে এবং সে এটি বিস্ফোরণের হুমকি দেয়। তার নির্দেশে বিমানটি সাইপ্রাসের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে বিমানটি সাইপ্রাসের লারনাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। অবতরণের পর বিমানটিকে পুলিশের গাড়ি চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে। তাৎক্ষণিকভাবে ওই ছিনতাইকারী কেবল বিমানের কাছ থেকে পুলিশের গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানালে কর্তৃপক্ষ তা মেনে নেয়। পরে আলোচনার পর চারজন যাত্রী ও বিমানের ক্রুদের জিম্মি রেখে অন্য যাত্রীদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সাইপ্রাসের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওই ছিনতাইকারীর বয়স আনুমানিক ২০ বছর। সে লিবিয়ার নাগরিক। বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে সে গ্রিক-সাইপ্রিয়ট এক মেয়ের কাছে একটি চিঠি পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই