বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরেই লটারি জিতে ৭ কোটি টাকা

বিমান দুর্ঘটনা থেকে বিস্ময়কর ভাবে রক্ষা পাওয়া এবং লটারিতে ১০ লক্ষ ডলার জেতার সুবাদে এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যবান মানুষ কেরালার বাসিন্দা মহম্মদ বশির আবদুল খদর।

উপরওয়ালা যব দেতা হ্যায়, ছপ্পড় ফাড়কে দেতা হ্যায়। বহু প্রচলিত প্রবাদটি পের প্রমাণ করলেন বছর বাষট্টির মহম্মদ বশির। গত সপ্তাহে দুবাইয়ে আছড়ে পড়ে আগুন লেগে ধ্বংস হয় এমিরেটস সংস্থার বিমান। ভয়াবহ দুর্ঘটনা সত্ত্বেও আশ্চর্য ভাবে রক্ষা পান বিমানের সব যাত্রী ও কর্মীরা।

এঁদের মধ্যে ছিলেন কেরালার সাবেক বাসিন্দা, অধুনা কর্মসূত্রে দুবাইবাসী বৃদ্ধ বশির মিঁয়া। এর কিছু দিন পরেই আবার তাঁর ওপর ভাগ্যদেবীর আশীর্বাদ ঝরে পড়েছে। দুবাইয়ে তাঁর কেনা লটারির টিকিট জিতে নিয়েছে প্রথম পুরস্কার, যার মূল্য ১০ লক্ষ ডলার। টাকার হিসাবে যা প্রায় ৬,৬৭,৪০,০০০ টাকা।

দুবাইয়ের সংবাদপত্র গাল্ফ নিউজ জানিয়েছে, প্রতিবার দেশে ফেরার সময় লটারির টিকিট কাটার অভ্যাস বশিরের। গত ঈদের ছুটিতে তিরুঅনন্তপুরম যাওয়ার পথেও তিনি টিকিট কেটেছিলেন। আগামী ডিসেম্বর মাসে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার আগে সেই টিকিটই এবার তাঁকে কোটিপতি বানাল।

দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই ডিউটি ফ্রি মিলেনিয়াম মিলিয়নিয়র লটারিতে তাঁর কেনা ০৮৪৫ নম্বর টিকিট জিতে নিয়েছে মোটা অর্থপুরস্কার। বশির ঠিক করেছেন, অবসরের পরে দেশে ফিরে এই টাকার অংশ দরিদ্রের সেবায় ব্যয় করবেন।

দুবাইয়ের এক গাড়ির ডিলার সংস্থার কর্মী মহম্মদ বশির জীবনভর নানান সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। জন্মের ১৩ দিনের মাথায় পড়ে গিয়ে তাঁর এক ছেলে চিরদিনের মতো পঙ্গু হয়ে গিয়েছে। একুশ বছরের ছেলের কঠিন শল্যচিকিত্‍সার খরচ জোগাড় করতে তাঁকে সওয়া কোটি টাকা এর আগে ধার করতে হয়। সেই টাকা অবশ্য ইতিমধ্যে তিনি শোধ করতে সক্ষম হয়েছেন।

তবে লটারি জিতলেও কর্মজীবনে এখনই ইতি টানতে রাজি নন বশির। দুবাইয়ের সংস্থায় চাকরি করে ছেলের চিকিত্‍সার পাশাপাশি মেয়ের বিয়েও দিয়েছেন। অবসর গ্রহণের পরে দেশে ফিরেও তাঁর চাকরি করারই ইচ্ছে রয়েছে। বশিরের কথায়, ‘যতদিন পারব কাজ করব। পরিশ্রম করে উপার্জিত টাকার কোনও বিকল্প হয় না।’-এই সময়



মন্তব্য চালু নেই