বিশেষ আদালতে খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাজিরা দিতে বকশিবাজারের বিশেষ আদালতে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ৫০ মিনিটে তিনি বকশিবাজারে আলিয়া মাদরাসার মাঠের অবস্থিত বিশেষ আদালতে পৌঁছেন।

এর আগে সকাল ৯ টা ৫৫ মিনিটে তিনি গুলশানের বাসা থেকে আদালতের উদ্দেশে রওনা হন। দুর্নীতির দুই মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের এই অস্থায়ী আদালতে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য তিনি আজ আদালতে গেছেন। সর্বশেষ গত ৩ আগস্ট খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন।

ওই দিন তার উপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টসংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার বাদি ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর রশিদকে খালেদা জিয়ার পক্ষে জেরা করেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। জেরা শেষে মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের তারিখ ১০ আগস্ট ধার্য করা হলেও ঐ দিন অনুপস্থিত ছিলেন বেগম জিয়া। এরপর গত ৩ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিএনপির নেত্রীর অনুপস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম চলে।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুদক।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলো— মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।



মন্তব্য চালু নেই